শুক্রবার সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতও চলছে। বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, ষোলশহর, হালিশহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও অলিগলিতে পানি জমে যাওয়ায় নাকাল হতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
পানির কারণে বিভিন্ন স্থানে ছুটির দিনেও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নিচু এলাকায় বাড়িঘরে পানি ঢোকারও খবর পাওয়া গেছে।
মুরাদপুর ও ষোলশহর এলাকার প্রধান সড়কের পাশাপাশি অলিগলিও পানির নিচে তলিয়ে গেছে। “সকালে মুরাদপুরের বাসা থেকে বের হয়েছিলাম আগ্রাবাদে অফিসে যাওয়ার জন্য। মুরাদপুরের প্রধান সড়কে কোমর সমান পানি। আমি ফরেস্ট এলাকা দিয়ে বের হয়ে ষোলশহর পর্যন্ত এসেও কোনোদিকে যেতে পারিনি।”
টানা বৃষ্টিতে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়েও পানি জমে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জসীম উদ্দিন জানান, তাদের মাঠে প্রায় তিন ফুট পানি জমেছে। গ্যারেজ, ফুয়েল রুম, প্রশাসনিক ভবনেও পানি ঢুকেছে।
মাঠে রাখা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সরঞ্জাম পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের কার্যক্রমেও জটিলতা সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন জসীম। ভোর থেকে ৯টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পর তোড় কিছুটা কমলেও ১০টার পর আবার বাড়তে শুরু করে। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে নগরীর বিভিন্ন এলাকা সকাল থেকেই বিদ্যুৎহীন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম কার্যালয় জানিয়েছে, সকাল ৬টা থেকে ছয় ঘণ্টায় ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে তারা। আবহাওয়াবিদ শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, কালবৈশাখীর সঙ্গে ভারি বর্ষণ শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এজন্য কোনো সংকেত দেখাতে বলা হয়নি।