চট্টগ্রাম ব্যুরো :: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে একটি মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ নগরের ইপিজেড থানায় হামলা চালায়।
সেদিন অস্ত্র লুট ও ভাঙচুর করে থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এতে অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ইপিজেড থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাকিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করলেও বিষয়টি সোমবার (২৬ আগস্ট) জানাজানি হয় ।
এ ঘটনায় ১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইপিজেড থানায় দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে গত ৫ আগস্ট বিকেলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২৫ থেকে ৩০ হাজার দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের ভয়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে থানা ছেড়ে পালিয়ে গেলে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে থানার রেজিস্ট্রারপত্র, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ইপিজেড থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অস্ত্র লুটের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে লুণ্ঠনকৃত অস্ত্র, গুলি ও অন্যান্য মালামাল জমা না দেওয়ায় সিসি ক্যামরায় ধারণকৃত ফুটেজ ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে পদক্ষেপ নেওয?া হবে।
এর আগে, গত ২৪ আগস্ট রাতে নগর পুলিশের কোতোয়ালী থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ হাজার জনকে আসামি করে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয?ে একটি মামলা করেন।