॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়কে চাঁদাবাজী, ডাকাতি বন্ধ করে নিরাপত্তার দাবীতে রবিবার (৭ মে) রাঙ্গামাটি জেলার সকল সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালিত হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক ও নৌযান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ শুক্রবার এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ধর্মঘটের কারণে রাঙ্গামাটির সঙ্গে দূরপাল্লার রুটে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। নৌ পথে ছেড়ে যায়নি কোন লঞ্চ। শহরের অভ্যন্তরীন রুটে অটোরিক্সা চলাচল করেনি। ফলে শহরবাসী ও দুরের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
এদিকে মালিক শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট ডাকলেও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে ধর্মঘট তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। রাঙ্গামাটি সড়ক ও নৌযান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি মঈন উদ্দিন সেলিম জানান, প্রশাসনের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অনিদিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে পরিবহন ধর্মঘট তুলে নেয়া হবে। প্রশাসন যদি কোনো উদ্যোগ না নেয় মালিক ও শ্রমিকরা পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
পরিবহন মালিক শ্রমিকদের অভিযোগ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়কে এবং পানি পথে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীদের হাতে পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। হত্যা, গুমসহ প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজী ডাকাতিসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে তাদের। রাঙ্গামাটি চট্টগাম সড়কসহ জেলার অভ্যন্তরীন সড়ক ও নৌপথে এ সব সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করে নিরাপত্তা দেয়া না দেয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবহন সংগঠনগুলো।
রাঙ্গামাটি যানবাহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা বলেন, পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, ডাকাতি, অপহরণ ও গুমসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জানমালের ঝুঁকি নিয়ে সবকটি রুটে যানবাহন চালাতে হয়। সর্বশেষ ৩ মে রাতে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম প্রধান সড়কের সাপছড়ি এলাকায় বাস, মিনিবাসসহ ১০-১২ যানবাহন থামিয়ে চালক-শ্রমিকদের মারধর করে তাদের কাছ থেকে টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই।