॥ মো. আবু তৈয়ব ও মো: সোহেল রানা ॥ স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা মানুষের রক্তের উপরে পা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। তাই এখন সাংবাদিকদের লেখনির স্বাধীনতা ফিরে এসেছে। এখন স্বাধীন ভাবে সাংবাদিকরা লিখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবং খাগড়াছড়ি জেলা জাতীয়তাবাদী দল-(বিএনপি) সভাপতি ওয়াদুদ ভূইয়া। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক জাতীর বিবেক ও সমাজের দর্পন হিসেবে কাজ করে। একটি দীর্ঘ মেয়াদি সরকার সাংবাদিকদের লেখনির কলম দামীয়ে রেখেছিল এবং বাকস্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়ে ছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে বিপ্লব হয়ে সরকারের পতন হয়েছে। সাংবাদিকরা সত্য বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
শুক্রবার (২২নভেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে খাগড়াছড়ি জেলা অফিসার্স ক্লাবে সম্মেলন কক্ষে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র অন্তর্বতীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও পার্বত্যাঞ্চলের গুণী সাংবাদিক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২২নভেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে খাগড়াছড়ি জেলা অফিসার্স ক্লাবে সম্মেলন কক্ষে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব’র অন্তর্বতীকালীন কমিটির সাধারণ সভা ও পার্বত্যাঞ্চলের গুণী সাংবাদিক সংবর্ধনা প্রদান সভায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের অন্তর্বতীকালীন কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ জহুরুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসেবে অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীণ সাংবাদিক এ. কে. এম. মকছুদ আহমেদ।
উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীণ সাংবাদিক এ. কে. এম. মকছুদ আহমেদ বলেন, জীবনের শেষ মুর্হুতে মানুষের এত ভালোবাসা পাচ্ছি যা আমি অবিভূত। এই পাওয়া আমার জন্য অনেক গর্বের বিষয়। তবে আমার সাংবাদিকতার জীবনে পাহাড়ে যা কিছু করেছি নিঃস্বার্থ ভাবে সবার জন্য করেছি। আমি চেয়েছি পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য বদলাতে। তাদের জীবনমান উন্নয়নের ধাবিত করতে। কারোর প্ররোচনায় বা রক্তচক্ষুকে ভয় পায়নি। আমার জীবনে কখনো হলুদ সাংবাদিকতা করেনি। তাই আমি চাই বর্তমানে যারা সাংবাদিকতা করছে তারা যেন হলুদ সাংবাদিক পরিহার করুক। সব সংবাদ সঠিক ও বস্তুনিষ্ট হতে হবে। যা ঘটেছে তা সঠিক ভাবে তুলে ধরতে হবে। তাই হলুদ সাংবাদিকতা পরিহার করে সঠিক পথে হাটতে হবে। এতে করে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও সম্মান অটুট থাকবে। আজকে যে আমাকে খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাব অন্তর্বতীকালীন কমিটির পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও সম্মানা প্রদান করা হচ্ছে তা আমি সারা জীবন মনে রাখবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাব অন্তর্বতীকালীন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাব অন্তর্বতীকালীন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মো: জসিম উদ্দিন মজুমদার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর সৈয়দ আব্দুল মোমেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জাহিদ হাসান। এতে অনুভূতি ব্যক্ত করেন, মহালছড়ি প্রেপক্লাব সভাপতি দীপক সেন, গুইমারা প্রেসক্লাব সভাপতি মো: নুরুল আলম, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব সহ সভাপতি এইচ এম প্রফুল্ল, সাবেক জেলা তথ্য কর্মকর্তা সুরেশ কুমার ত্রিপুরা, সাবেক খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য অনিমেষ চাকমা রিংকু, মারমা উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী, সাবেক প্রকোশলী নির্মল কান্তি দাশ প্রমূখ।
আলোচনা সভায় শেষ পার্বত্য চট্টগ্রামের চারণ সাংবাদিক ও দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক প্রবীণ সাংবাদিক এ. কে. এম. মকছুদ আহমেদ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য ও গুণী সাংবাদিক ও বান্দরবান প্রেসক্লাব সাবেক সভাপতি বাদশা মিয়াকে সংবর্ধনা ক্রেস প্রদান করা হয়।
