দীঘিনালায় ২দিনের টানা ভারিবর্ষনে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত আশ্রয় কেন্দ্রে ২‘শতাধিক পরিবার

॥ সোহেল রানা, দীঘিনালা ॥ খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ২দিনের টানা ভারিবর্ষনে পাহাড়ির ঢলে সৃষ্ট বন্যায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ফলে প্লাবিত লোকজন পাশ^বর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। পাহাড় ধ্বস এবং বন্যার ফলে উপজেলার ৬টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, দীঘিনালা উপজেলার বড় মেরুং, চিট্গাাংপাড়া, তিন নম্বর কলোনী পাড়া, দুই নম্বর কলোনী পাড়া এক নম্বর কলোনী পাড়া, ছোটমেরুং বাজার এলাকা, ছোবহানপুর গ্রাম এবং হাজাছড়াপাড়া বন্যার পানিতে তলীয়ে যায়। অন্যাদিকে  প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধ্বস আতঙ্কে কবাখালী ইউনিয়নের হেডম্যান পাড়া, আলী নগর এবং রশিক নগর এলাকায় লোকজন রশিকনগর দাখিল মাদ্রাসায় ১০ পরিবার, কবাখালী সরকারী প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে ৭০ পািরবার,  মধ্যম বোয়ালখালী সরকারী প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে ৫ পরিবার আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে পানিবন্দি হয়ে আর.এ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯ পরিবার, ছোটমেরুং সরকারী প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে ৩৭ পরিবার, বাজেইছড়া সরকারী প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে ২০ পরিবার আশ্রয় নেয়। এছাড়া প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এব্যাপারে কবাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম বদিউজ্জামান জানান, প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কায় আমার বিদ্যালয়ে ৭০ পরিবার গত সোমবার সন্ধায় আশ্রয় নিয়েছেন।
চিটাগাংপাড়া গ্রামের মুজিবুর রহমান (৫০) জানান, সোমবারের টানা বর্ষণে আমাদের মেরুং ইউনিয়নের অনেক গ্রামই পানিতে তলীয় যায়।  আমাদের পরিবারের সবাই গরু, ছাগল, হাসমুরগি নিয়ে আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছি।
এব্যাপারে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ঘনশ্যাম ত্রিপুরা জানান, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে  প াহাড় ধ্বস এবং পানি বন্দি  লোকজনদের  পাশ^বর্তী আশ্রয়  কেন্দ্রে  নেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা মহোদয়’সহ আমরা ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। উপজেলায় প্রায় দুইশত পরিবার পাহাড় ধ্বস ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারপর তাৎক্ষণিকভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত পরিবার  প্রতি  ৫কেজি হারে চাউল,  আধাকেজি ডাল, আধা  কেজি লবন, এক কেজি আলু, আধাকেজি  তেল এবং মোমবাতি ও দিয়াশলাই বিতরণ করা হয়েছে।

পার্বত্য অঞ্চলের প্রখ্যাত সাংবাদিক মরহুম একেএম মকছুদ আহমেদের স্বরণে নাগরিক শোকসভা :  পার্বত্য অঞ্চলের সাংবাদিকতার জীবন্ত কিংবদন্তি প্রবীন সাংবাদিককে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় পদকে ভুষিত করার দাবী

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031