রাতের খাবার পরিবেশন করতে দেরি হওয়ায় স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতের দিল্লীর এক বাসিন্দা। অশোক কুমার নামের সে ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর।
গত শনিবার রাতে অশোক কুমার মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। তারপর স্ত্রী সুনাইনার সাথে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ৫৫ বছর বয়সী স্ত্রীকে মাথায় গুলি করে অশোক কুমার।
গুরুতর আহত অবস্থায় একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ কর্মকর্তা রূপেশ সিং জানিয়েছেন, স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে অশোক কুমার। এখন তিনি সেজন্য অনুতপ্ত।
রূপেশ সিং বলেন, ” সে ব্যক্তি প্রতি রাতে মদ্য পান করতো। শনিবার সে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরলে স্ত্রী সাথে ঝগড়া শুরু হয়। স্বামীর মদ্যপান নিয়ে স্ত্রী বেশ হতাশায় ভুগছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি তার স্বামীর সাথে কথা বলতে চান। কিন্তু তার স্বামী দ্রুত খাবার চেয়েছেন।”
খাবার দিতে দেরি হওয়ায় এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীকে গুলি করেন অশোক কুমার।
ভারতে নিজের বাড়িতে নারীদের প্রতি সহিংসতার মাত্রা গত এক দশকে অনেকটা বেড়ে গেছে। ২০১৫ সালের এক জরিপে দেখা গেছে যৌতুককে কেন্দ্র করে প্রতি চার মিনিটে একটি সহিংসতা হচ্ছে।
সরকার পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ভারতে ৫৪ শতাংশ পুরুষ ৫১ শতাংশ নারী মনে করেন কোন নারী যদি তার শ্বশুর-শাশুড়িকে অসম্মান করে কিংবা গৃহস্থালির কাজ এবং সন্তান পালনে অমনোযোগী হয় তাহলে স্বামীরা স্ত্রীদের প্রহার করতে পারে। এতে দোষের কিছু মনে করেন না তারা।
শুধু তাই নয়, খাবারে পরিমানমতো লবণ না হলেও স্ত্রীদের পেটানো যায় বলে অনেকে মনে করে।