॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে কোরবানী পশুর হাটে চাঁদাবাজী ও জাল নোটের ব্যবহারের প্রতিরোধ কয়েস্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান। তিনি জানান, রাঙ্গামাটির পাহাড়ী অঞ্চল থেকে অন্যত্র কোরবানী পশু পরিবহন করা যাবে। রাস্তায় পুলিশ কোন বাঁধা প্রদান করবে না।
বৃস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীদের সাথে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার, সদর সার্কেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিৎ বড়–য়া, প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ জেলা ও উপজেলার পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটের পাশাপাশি জেলার বিভিন্নস্থানে রাস্তার ওপর যত্রতত্র গরুর হাট বসানো ফলে একদিকে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে প্রচন্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে ভোগান্তিতে পড়ে সর্বস্তরের জনগণ। তাই ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র রাস্তার ওপর যত্রতত্র গরু উঠানামা ও বাজার বসানো ক্ষেত্রে নজর রাখবে পুলিশ। অনুমোদিত গরুর বাজারগুলোতেও নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া সড়কের ওপর গরু বিক্রি করা যাবে না।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোরবানির পশুর হাটে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। আর মূল সড়কগুলো যেসব স্থানে কোরবানির পশুরহাট বসবে সেখানে যানজট নিরসন ও জনদুর্ভোগ রোধে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে।