১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাথে এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, গত সোমবার জাতিসংঘে এক বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখান থেকে বেরিয়ে যাবার সময় শেখ হাসিনা মি: ট্রাম্পকে কয়েক মিনিটের জন্য থামিয়েছিলেন।
জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ে আলোচনার জন্য মি: ট্রাম্পের উদ্যোগে সে বৈঠকটি হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ” তিনি ( ডোনাল্ড ট্রাম্প) শুধু জিজ্ঞেস করেছিলেন, বাংলাদেশ কেমন আছে? আমি বলেছিলাম, ‘ভালো, তবে আমাদের একমাত্র সমস্যা মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীরা। কিন্তু শরণার্থীদের নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করেন নি।”
শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন, শরণার্থীদের বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান পরিষ্কার। সেজন্য রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের বিসয়ে মি: ট্রাম্পের সহায়তা চাওয়া কোন কাজ হবে না।
” আমেরিকা ঘোষণা করেছে যে তারা শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। আমি তাঁর কাছ থেকে কী আশা করতে পারি? বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে। তিনি এরই মধ্যে তার মনোভাব প্রকাশ করেছেন। সুতরাং আমি তাকে কেন জিজ্ঞেস করতে যাব?” রয়টার্সকে বলছিলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধনী রাষ্ট্র নয়। কিন্তু তারপরেও ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারে। এর বাইরে আরো পাঁচ-সাত লাখ মানুষকেও বাংলাদেশ খাওয়াতে পারবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে হোয়াইট হাউজের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আলাপচারিতার বিষয়ে তিনি অবগত নন।
তবে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগ্রহী বলে জানান হোয়াইট হাউজের সে কর্মকর্তা।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেবার জন্য আন্তর্জাতিক চাপ দেখতে চান তিনি।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন।
আগামী বৃহস্পতিবার সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।