॥ নিজস্ব প্রতিবদেক ॥ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত হয়েছে। উৎসবে পুণ্যার্থীর ঢল নামে। অনুষ্ঠানে জগতের সব প্রাণীর সুখ-শান্তি, হিত, মঙ্গল এবং দেশ ও বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এ উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচির মধ্যে ভোরে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষুসংঘের পিন্ডদান ও প্রাতঃরাশ, বুদ্ধপূজা, অষ্ট পরিষ্কার দান, সংঘদান, উৎসর্গ ও ধর্মীয় দেশনা, প্রদীপ প্রজ্বলন, ফানুস উত্তোলন উল্লেখযোগ্য।
অনুষ্ঠানে মহাপরিনির্বাণে বৌদ্ধ আর্যপুরুষ, শ্রাবকবুদ্ধ ও মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের শান্তির প্রার্থনা জানান অনুগত শিয্যমন্ডলীসহ অগণিত পুণ্যার্থী। এ সময় সদ্ধর্মপ্রাণ দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা দেন বনভান্তের উত্তরসূরী শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।
সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বলন ও ফানুস উত্তোলন করা হয়। অনুষ্ঠানে সমবেত হাজার হাজার পুণ্যার্থীর উদ্দেশে বুদ্ধের অহিংসা পরম নীতি এবং বনভান্তের আদর্শে হিংসা, রাগ, অহংকার, লোভ, মোহ ও মিথ্যা দৃষ্টি পরিহার করে নিজেকে সর্বদা সৎপথে পরিচালিত করার হিতোপদেশ দেন ভিক্ষুসংঘ।
উল্লেখ্য, প্রবারণা পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধ সাধকরা টানা তিন মাস বর্ষাবাস সমাপ্ত করে ধর্ম প্রচারে বেরিয়ে পড়েন। প্রবারণা পুর্ণিমার দিন থেকে টানা এক মাস ধরে বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে প্রধান ধর্মীয় উৎসব দানোত্তম কঠিন চীবর দান উদযাপিত হয়ে থাকে। তাই বৌদ্ধদের জন্য এই পূর্ণিমাটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।