খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে প্রায় ৬৮কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৭ নাম্বার প্যাকেজে খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সেতু নির্মাণ কার্জ বাস্তবায়ন করছে। কুমিল্লার কচুয়া উপজেলার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স রানা বিল্ডার্স কনষ্ট্রাকশন লি: এ সেতু নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ পেলে স্বত্বাধীকারী মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজ এ সেতুগলো নির্মান কাজ করছেন।
খাগড়াছড়ি লক্ষ্মীছড়ি ছাড়াও দীঘিনালা ও মহালছড়ি সড়কে একই প্যাকেজে আরো কয়েকটি সেতু নির্মিত হচ্ছে বলে জানান খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো: দিদারুল ইসলাম জানিয়েছেন, এদিকে লক্ষ্মীছড়ি-মানিকছড়ি সড়কে বাস্তবায়নাধীন বক্সকার্লভাটসহ ৬টি সেতুর প্রস্থ ধরা হয়েছে ১২.৫০মিটার। লক্ষ্মীছড়ি থানা সংলগ্ন ধুরুং এর উপর নির্মানধীন সেতুটিই সবচেয়ে বড় যার দৈঘ্য হলো ১০০ মিটার। বাকি ব্রিজগলো ৩০ মিটার থেকে ৬০ মিটারের মধ্যে। সড়কের পরিধি হবে ১৮ ফুট। বর্তমানে সড়কটির পরিধি রয়েছে মাত্র ১০ফুট। উক্ত ব্রিজগুলোর বাস্তবায়নের সময়কাল ধরা হয়েছে ১৮মাস থেকে ২৭ মাস। সেই হিসেবে মতে আগামী ২০১৯সালের শেষ দিকে চুড়ান্ত বাস্তবায়ন কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে বলে কাজের তদারকি অফিসার সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ) এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো: দিদারুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। এর মধ্যে সবগুলো ব্রিজের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।
সেতুগুলো হলো লক্ষ্মীছড়ি থানা সংলগ্ন ধুরুং নীর উপর, লক্ষ্মীছড়ি বাজার সংলগ্ন, হাতিয়া ছড়া ময়ূরখীল পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন, মগাইছড়ি নতুন পাড়া মসজিদ সংলগ্ন, মানিকছড়ি-লক্ষ্মীছড়ি সীমান্তে মগাইছড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ক্লিনিক সংলগ্ন, মানিকছড়ি সীমান্ত লেমুয়া মসজিদ সংলগ্ন (ব´কালভার্ট)।
এ সেতুগুলো নির্মিত হলে সহজ যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নত হওয়ার পাশপাশি পাল্টে যাবে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্তমান দৃশ্যপট। ছোট যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি ঢাকাসহ সারা দেশের সাথে সহজ যোগাযোগ ব্যবাস্থা চালু হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এতে করে সময় ও অর্থ খরচ কমে আসবে অনেকটা। পূর্বে নির্মিত ব্রিজগুলো সরু এবং মারাত্বক ঝুকিপূর্ণ। ফলে ঢাকাগামী বড় নৈশ কোচগুলো চলাচল করতে পারছে না। তা ছাড়া সড়কের পরিধিও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক শুরু।
আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে হলে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা অন্যতম। উন্নত জীবন যাত্রার মান বাড়াতে হলে সময় ও খরচ বাঁচাতে আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া এখন সময়ের দাবি। পিছিয়ে পড়া অনুন্নত, পশ্চাদপদ লক্ষ্মীছড়ি উপজেলাকে এগিয়ে নিতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করার বিকল্প নেই এমন মন্তব্য করে খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ ইকবাল এ প্রতিনিধিকে বলেন, এখন আর পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নাই। প্রধান সড়ক উন্নত হওয়ার পাশাপাশি আভ্যন্তরীন সড়কগুলো উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগ(সওজ) এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা এই প্রতিবেদকটি জানিয়েছেন, সবক’টি ব্রিজের কাজ শুরু হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন। অন্যদিকে খাগড়াছড়ি’র জেলায় সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুসলিম উদ্দিন জানিয়েছেন এই পার্বত্য অঞ্চলে যে সমন্ত নরগড় হয়ে আছে সেই ব্রীজ গুলি নির্মাণ কাজ অতি দ্রুত চলবে জেলার ৯টি থানায় প্রত্যেকটি গ্রাম অঞ্চলে কালভার্ট, বক্সকালভার্ট অকেজো হয়েছে। সেই ব্রীজ গুলি অতি সহজে মেরামতের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।