॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০টি দোকান ও বসতঘর পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের কাঠালতলী আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বৈদ্যুতিক শর্টসাকির্টের কারণে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হতে পারে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে ক্ষতিগ্রস্থরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শহরের আলম ডর্ক ইয়ার্ড এলাকায় স্থানীয় জসিম উদ্দিনের ঘরে শর্টসাকির্টের কারণে আগুন ধরে যায়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন আশেপাশের দোকান ও বসত ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, দুই প্লাটুন সেনাবাহিনী ও এক প্লাটুন পুলিশ যৌথভাবে চেষ্টা চালিয়ে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু এ মধ্যে ৪টি দোকান ও ১৬টি বসতঘর আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
রাঙ্গামাটি জেলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ষ্টেশন মাষ্টার মোহাম্মদ নুরুল কবির জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসাকির্টের কারণে এ আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের কাজ চলছে।
অন্যদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার খবর পেয়ে শহরের দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে কয়েক হাজার মানুষ। তাই স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ পুরো এলাকা নিরাপত্তা জোড়দার করে।
এব্যাপারে রাঙ্গামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাফিউল সরোয়ার জানান, শহরের আলম ডক ইয়ার্ড এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ। তাই সামান্য আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মুর্হুতের মধ্যে চারপাশে ছড়িয়ে পরে। সঠিক সময়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনা সদস্যরা না আসলে এ আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হতো না। অগ্নিকান্ডের ঘটনার সময় উৎসুক জনতা ভিড়ের কারণে আগুন নিভানোর কাজে সমস্যা হচ্ছিল। তাই পুলিশের নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।