বর্ণাঢ্য আয়োজনে বান্দরবানে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস পালিত নারীকে সবার আগে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে

॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান ॥ “নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা,বদলে যাবে বিশ্ব ,কর্মে নতুন মাত্রা” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বান্দরবানে আর্ন্তজাতিক নারী দিবস ২০১৭ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে র‌্যালী, আলোচনা স্বাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৮মার্চ) সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসক চত্ত্বরে এসে র‌্যালী শেষ হয়। এসময় র‌্যালীতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে জেলা মহিলা বিষয়ক র্কমকর্তা সুম্মিতা খীসা এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শম্পা রানী সাহা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ হাসান আলী, উইম্যান চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি লালছানি লুসাই, দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অং চ মং মারমা, সিনিয়র জে-ার স্পেশালিস্ট এ্যানা ত্রিপুরা।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, জেলা শিশু বিষয়ক র্কমকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি, কারিতাসের প্রোগ্রাম অফিসার রুপনা দাস, ব্যাক প্রতিনিধি মো: ওমর ফারুক, রুপালী নারী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রুপালী বড়–য়া,সূর্যের হাসি ক্লিনিকের জেলা সমন্বয়কারী প্রমোদ মল্লিক, হেলেন ক্লেনারের মা ও শিশু সাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মাসুমা চেীধুরীসহ স্থানীয় বিভিন্ন এনজিও কর্মী ও সুশীল সমাজের লোকেরা। সভায় সঞ্চালনা করেন হোসনেআরা শিরিন ও মিলন কুমার ভট্টাচার্য্য।
এসময় বক্তারা বলেন“এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। এরেই ধারাবাহিকতায় ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার অর্জনের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে আর্ন্তজাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরো বলেন “নারীকে সবার আগে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। নারী যে মানুষ, তা নারীকেও বুঝতে হবে। নারীর অগ্রগতির জন্য সবার আগে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। কারণ নারীকে প্রথমত পরিবার থেকেই আলাদা করে দেখা হয়। উন্নয়ন আর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে নারীকে সুসংহত চিন্ত করতে হবে। নারী-পুরুষ প্রতিদ্বন্ধী নয়। আজ  বিশ্বের দরবারে নারী পুরুষ সমান ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। সাতরাং একে অপরকে পরিপূরক ভাবলেই মানুষে মানুষে সমতা আসবে।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930