॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় ৬৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উৎসব উদ্যাপন করলো রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাবাসী। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইত্তেফাকের ৬৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করেন সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।
এসময় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার সম্পাদক আনায়ার আল হক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম একুশে পদক প্রাপ্ত মহালছড়ির মংছেনচীং মংছিন রাখাইন, অনলাইন পত্রিকা সিএইচটিনিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কম এর সম্পাদক ও প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম শামসুল আলম, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মহসিন রানা, রাঙ্গামাটি প্রতিবন্ধি স্কুল ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের সম্পাদক নুরুল আবছার প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরামের প্রচার সম্পাদক ও আর টিভি’র জেলা প্রতিনিধি ইয়াছিন রানা সোহেল।
ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনে ইত্তেফাক পত্রিকার ভুমিকা ছিল অপরিসীম। একমাত্র এই পত্রিকায় তখন সাহসিকতার সাথে সত্য ও সঠিক তথ্যগুলো প্রচার করেছিল। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত জীবনি বইটি পড়লেই এই পত্রিকার অনেক গুনাগুন চোখে পড়ে। এতেই বুঝা যায় এই পত্রিকাটি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সত্য প্রকাশে কি ভুমিকা রেখেছিল। আর এ জন্যই এ পত্রিকাটি এখনো পাঠকপ্রিয় হয়ে রয়েছে সবার মনে।
অনুষ্ঠানে সাংসদ চিনু আরো বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে যেমন বিশ্বাসী তেমনী পাহাড়ের সাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় সব সময় কাজ করে চলেছি। শুরু থেকেই পাহাড়ের সমস্যা, সম্ভবনা ও সম্প্রীতির কথাগুলো তুলে ধরতে এই পত্রিকা এবং প্রতিনিধির যথেষ্ট অবদান রয়েছে। আগামীতেও এই পত্রিকাটি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ের সাহসী পত্রিকা ছিলো ইত্তেফাক। ইত্তেফাক স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা যোগানোর মাধ্যমে স্বাধীনতার বিজয় এনে দিয়েছিলো। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের সঠিক চিত্র তুলে ধরার কারণে দেশ বিদেশের সবখবর মূহুর্তেই জানা সম্ভব হয় জনগনের। এক কথাই তারা সমাজের দর্পণ। কলম সৈনিক হিসেবে তাদের সবসময় আমাদের সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
সভাপতির বক্তব্যে চারণ সাংবাদিক ও ইত্তেফাক রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি একেএম মকছুদ আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে পার্বত্য অঞ্চলের সঠিক ও সত্য সংবাদ সাহসিকতার সাথে ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশ করে আসছি। যতদিন বেঁচে থাকবো এভাবেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, উন্নয়ন, সম্ভাবনা, কৃষ্টি কালচার’সহ বিভিন্ন বিষয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ জনগনের কাছে তুলে ধরবো। তিনি ইত্তেফাক পত্রিকা সবসময় সত্য লেখার সাহস রাখে আগামীতেও রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে রাঙ্গামাটির কর্মরত সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, উন্নয়ন সংস্থা, সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সুশীল সমাজের নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।