জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল জানান, বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মহেশখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুটিবিলা পালপাড়ায় প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর তারা পেয়েছেন।
বিমান বাহিনীর একটি সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় মধ্য আকাশে তাদের দুটো প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই বিমানের চার বৈমানিকের সবারই খোঁজ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশিদুল হাসান বলেন, “বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা বিস্তারিত পরে জানাব।”
মহেশখালীর গোরকঘাটা এলাকার বাসিন্দা আকাশ দেব বলেন, সন্ধ্যার পর তারা বিকট একটি শব্দ শোনেন। এর পরপরই পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান সরওয়ার আজমের বাড়ির পেছনে খালি জায়গায় আগুন জ্বলে উঠতে দেখা যায়।
আগুন দেখে ও শব্দ শুনে বিপুল সংখ্যক মানুষ সেখানে ভিড় করেন। ফায়ার সার্ভিসের মহেশখালী ইউনিটের সদস্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।
খবর পেয়ে কক্সবাজার থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও একটি ইউনিট বোট নিয়ে মহেশখালীর উদ্দেশে রওনা হয়।
ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক আলী আহমেদ খান জানান, “শুনেছি বিমান বাহিনীর দুটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে আমাদের লোকজন কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত তথ্য আমরা এখনও জানতে পারিনি।”
মহেশখালীর ইউএনও মো. আবুল কালাম চট্টগ্রাম অফিসকে বলেন, “দুই জায়গায় এরকম বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুন জ্বলার খবর আমরা পেয়েছি। এক বিমানের দুটো টুকরো থেকে এমন হয়েছে নাকি দুটো বিমান পড়েছে- তা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।”