২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার সময় চট্টগ্রাম বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগে ও বন্দরের দুর্নীতি এবং জাতীয় গৃহায়ণমন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি সম্পর্কে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি অবহিত করর জন্য তাহার (প্রধানমন্ত্রীর) সহিত চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় অধিবাসীদের অধিকার আদায় পরিষদের উদ্যোগে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও বিভাগীয় কমিশনার মো: আবদুল মান্নান এর নিকট স্বাক্ষাতের প্রয়োজনে অতি জরুরীভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণর নিমিত্তে আবেদনপত্র হস্তান্তর করা হয়। পরিষদের নেতৃবৃন্দ আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন যে, আমরা চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে বসবাসরত স্থানীয় অধিবাসী এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ এবং সরকারী বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার প্রয়োজনে যেমন বাংলাদেশ রেলওয়ে, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, সরকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সিইপিজেড, খাদ্য অধিদপ্তর, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও শিল্পমন্ত্রণালয় সহ বিভিন্নভাবে বারংবার ভূমি অধিগ্রহণের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি ও পরিবারগুলোর পারিবারিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় এবং অভাব অনটনের মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাগণ তাহাদের পরিবার নিয়ে বছরের পর বছর দিনাতিপাত করিয়া আসিতেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় লোকজন বারংবার উপেক্ষিত হইয়া আসিতেছে, সম্পতি বন্দরে লস্কর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও জনগোষ্ঠী নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সহ অপরাপর কর্মকর্তাদের যাহারা বিভিন্ন পদে গঠিত লোক নিয়োগে কমিটির আহ্বায়ক সহ সদস্যদের কাজে স্থানীয় ও ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের আবেদন নিবেদন সবসময় উপেক্ষিত হইয়াছে। আর অন্যদিকে বন্দরে কর্মচারীদের জন্য সেবা ও সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রেও (বন্দর হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ) এক্ষেত্রে স্থানীয় জনগোষ্ঠী সুযোগ সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। চট্টগ্রামে হালিশহর হাউজিং এষ্টেটের জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রায় এক শত একরেরও বেশি জমি বাড়ী ঘর অধিগ্রহণের কারণে সরকারী নিয়ম থাকার স্বত্ত্বেও কোন পূর্নবাসন প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয় নাই। আর অন্য দিকে একই দেশ একই মন্ত্রণালয় এর অধীনে ঢাকাতে মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও লালমাটিয়ায় হাজার হাজার পুর্নবাসন প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হইয়াছে। চট্টগ্রামে আন্দোলন সংগ্রাম করা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-৮/২২৬-২/৮৮ (অংশ) তারিখ ০৮/০৬/১৯৯৩ইং তারিখে মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুর্নবাসন প্লট বরাদ্দ করার সরকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পরও অদ্যাবধি বরাদ্দ না করে পরিকল্পিতভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আবেদনপত্র হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃক ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় অধিবাসীদের অধিকার আদায় পরিষদ এর সভাপতি নূর মোহাম্মদ খান, সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন ওয়ার্ড চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুল ইসলাম, পরিষদ নেতা কাজী জাহাঙ্গীর ছিদ্দিকী, আবদুল মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার এম এ লতিফ, আলী ফজল দুলাল, নাঈমুল হক, আবদুল হাকিম, মো: আইয়ুব আলী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পরিষদের আবেদনে আরো উল্লেখ করেন যে, দেশের প্রধান নির্বাহী হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ও রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধীর বিরুদ্ধে জোড়ালো অবস্থান গ্রহণ করেছেন তাই চট্টগ্রাম বন্দর ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর সহিত সরাসরি অবহিত করার জন্য স্বাক্ষাতকার প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।