ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের লড়াইয়ের তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগে আগে বড় এই পরিবর্তন আনা হল।
রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার ওই আদেশে নতুন কয়েকজন উপমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সৌদি অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে অপেক্ষাকৃত তরুণদের সামনে নিয়ে আসা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন নারীও আছেন।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ এই রদবদলের যে খবর প্রকাশ করেছে, সেখানে কোনো কারণের কথা বলা হয়নি।
বিবিসি লিখেছে, মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ এই দেশে সাম্প্রতিক সময়ে যেসব বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে, তার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। সৌদি যুবরাজ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীরও দায়িত্বে রয়েছেন।
গত বছর যুবরাজের নেতৃত্বেই সৌদি আরবে ‘দুর্নীতিবিরোধী অভিযান’ চালানো হয়। ওই অভিযানে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, প্রিন্স আর ধনকুবেরকে রিয়াদের একটি হোটেলে আটকে রাখা হয়। তাদের কাওকে কাওকে পরে মোটা টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিবিসি লিখেছে, ইয়েমেনে সৌদি হস্তক্ষেপও হয়েছিল যুবরাজ মোহাম্মদের সিদ্ধান্তে। সৌদি আরবের প্রচলিত নীতি ভেঙে তিনি যে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে চান, সেটা ছিল তার প্রথম নজির।
এবারের রদবদলে সেনাপ্রধান জেনারেল আবদুররহমান আল বুনাইয়ানকে অবসরে পাঠিয়ে তার জায়গায় ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফাইয়াদ বিন হামিদ আল-রুয়াইলিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড ফোর্স ও এয়ার ডিফেন্স প্রধানের পদেও নতুন মুখ এসেছে।
চারজন মেজর জেনারেলকে লেফটেন্যান্ট জেনরেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে বসানো হয়েছে নতুন দায়িত্বে।
সৌদি আরবের ১৩টি প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে আল-জউফ, আসির ও হাইল অঞ্চলের আমির ও উপ আমির পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। রিয়াদ ও মক্কার মেয়র পদেও এসেছে নতুন মুখ।
অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষার দপ্তরগুলোতে নতুন কয়েকজন উপ ও সহকারীমন্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে তামাদুর বিনতে ইউসেফ আল-রামা পেয়েছেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব। রক্ষণশীল সৌদি আরবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন নারীর নিয়োগ বিরল ঘটনা।