১। বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনকভাবে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, দেশী বিদেশী মদসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্যের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ বৎসর ০১ জানুয়ারি ২০১৭ হতে অদ্য ২৬ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ৩৫৬ টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রসহ মোট ৪৯ টি ম্যাগাজিন এবং ৫,৫৩৯ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি/কার্তুজ উদ্ধারের পাশাপাশি ৭৫ লক্ষ ১৪ হাজার ১৪২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৩ হাজার ৩৯৯ বোতল ফেন্সিডিল, ২,৭৬৩ বোতল বিদেশী মদ ও বিয়ার, ০৫ লক্ষ ১২ হাজার ১৭৫ লিটার দেশীয় তৈরী মদ, ৭৭২ কেজি ২৮০ গ্রাম গাঁজা, ৩৬০ গ্রাম হেরোইন এবং ৪০০ গ্রাম আফিম উদ্ধার করেছে।
২। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ঢাকা হতে কক্সবাজারগামী হানিফ পরিবহনের পিকনিক এর ০১টি বাসের মাধ্যমে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান মাদক কুমিল্লা থেকে কক্সবাজারে পাচার করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ২৭ ফেব্র“য়ারি ২০১৮ ইং তারিখ ভোর ০৪০০ ঘটিকার সময় স্কোয়াড্রন লীডার শাফায়াত জামিল ফাহিম, পিপিএম এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানাধীন সিটি গেইট সংলগè গোল্ডেন কন্টেইনার লিমিটেড এর সম্মুখে পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশী করতে থাকে। এসময় ঢাক-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারগামী হানিফ পরিবহন এর একটি বাসের (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-২৩৬৫) গতিবিধি সন্দেহজনক হলে র্যাব সদস্যরা উক্ত বাসটিকে থামানোর জন্য সংকেত দিলে গাড়িটি রাস্তার পাশে থামালে র্যাব সদস্যরা যাত্রী ও গাড়ী তল্লাশী করতে থাকে। এ সময় বাসটির ড্রাইভার, হেলপার ও তাদের সহযোগী ১। মোঃ আনোয়ার হোসেন (৪২), পিতা- মৃত আব্দুল ওয়াহিদ সরদার, গ্রাম-কল্যাণ কলস, গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী, ২। মোঃ হাসান (৪২), পিতা- মৃত মোসলেম মিয়া, গ্রাম-ঔকুরী, দোলাই নবাবপুর, থানা- চান্দিনা, জেলা- কুমিল্লা এবং ৩। মোঃ শামছু মিয়া (২৭), পিতা-মৃত রহমত আলী, গ্রাম-নোয়াপাড়া, গোলপাশা, থানা-চৌদ্দগ্রাম, জেলা-কুমিল্লা এর গতিবিধি সন্দেহ হওয়ায় তাদেরকে আটক করা হয়। তাৎক্ষনিক আটককৃত আসামীদেরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য এবং দেখানো মতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত বাসটির পিছনের অংশে বাম পার্শ্বের সাইড বক্সের মধ্যে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ উক্ত বাসটি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক মূল্য ০১ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা এবং জব্দকৃত বাসের আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি টাকা।
৩। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মাদক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ (সংশোধনী/২০০৪) এর ১৯(১) টেবিলের ৭(খ)/২১/২৫ ধারা মোতাবেক চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।