উচ্চ আদালতের রায়ের তিন মাস পার হয়ে গেলেও রাঙামাটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে উজ্বল হয়ে শোভা পাচ্ছে দেশ কুখ্যাত রাজাকার ত্রিদিব রায়ের নামে সড়ক ও এলাকার নাম। শুধু তাই নয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পরও রাঙামাটি শহর থেকে এই কুখ্যাত রাজাকারের নামের সড়কের নাম বদলে ফেলতে স্থানীয় জেলা প্রশাসনকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না। রহস্যজনকভাবে চুপ রয়েছে রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল। চুপ রয়েছে শাসক দল আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধ্বজাধারী গণজাগরণ মঞ্চ। রাঙ্গামাটির যারা বাসিন্দা তারা তো এমনিতেই জানেন, তাছাড়া, যারা সেখানে কিছুদিন থেকেছেন কিংবা সেখানকার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন তারাও বলতে পারবেন যে, রাঙ্গামাটি শহরে একটি এলাকার নাম ত্রিদিব নগর, সংশ্লিষ্ট রাস্তাটির নামও ত্রিদিব রায় সড়ক!
গত ৩১ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট স্থাপনা, সড়ক ও রাস্তাঘাট থেকে তাদের নাম মুছে ফেলা হবে। সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্দেশ পালনে প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও সহায়তা নিতে হবে।
হাইকোর্ট গত ৬ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সব স্থাপনা থেকে স্বাধীনতাবিরোধীদের নাম মুছে ফেলতে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে শিক্ষা সচিব ও স্থানীয় সরকার সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০১২ সালে এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সেখানে সুনির্দিষ্টভাবে খুলনার খান-এ সবুর রোড এবং কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাহ আজিজুর রহমান মিলনায়তনের কথা উল্লেখ করা হয়। এর পর ২০টি স্থাপনার নামের তালিকাসহ সম্পূরক আরেকটি আবেদন করা হয়। এ বিষয়ে রিটকারীদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার একে রাশিদুল হক।
এদিকে আদালতের এই নির্দেশের পর রাজাকারের নামে নামকরণকৃত নাটোর শহরের দু’টি সড়কের নামফলক হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। শহরের ট্রাফিক মোড়ে আব্দুস সাত্তার খান চৌধুরী মধু মিয়া এবং বড়হরিশপুর বাসটার্মিনালের বিপরীত পার্শ্বে কছের উদ্দিন নামে দুই রাজাকারের নাম ফলক দুটি ভেঙ্গে ফেলেন জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি। তবে হাসপাতাল রোডে আব্দুস সাত্তার খান চৌধুরী মধু মিয়ার পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার আলী এবং বড়হরিশপুর বাসটার্মিনালের বিপরীত পার্শ্বে কছের উদ্দিন চেয়ারম্যান রোডের নামের পরিবর্তে বীরপ্রতীক সোলেমান আলীর নাম নামফলকে স্থান পাবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়। এসময় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে আদালতের নির্দেশের পর মাগুরা জেলায় চার রাজাকারের নামাঙ্কিত সড়কের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ি এই নামবদল করা হয়েছে। চারটি সড়কের তিনটি রয়েছে মাগুরা পৌরসভায় এবং একটি রয়েছে জেলার বিনোদপুর উপজেলায়। পৌর মেয়র খুরশিদ হায়দার টুটুল আজ পৌর এলাকায় তিনটি সড়কের নাম বদলের নির্দেশ দেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোল্লা নবুয়ত আলী বলেন, “হাই কোর্টের এই নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক খুশি হয়েছেন।”
একইভাবে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমায় রাজাকার আব্দুল ওয়াহেদ সরদারের নামে স্থাপিত একটি সড়কের নামফলক ভেঙে দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। নগরকান্দা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী ও পাকহানাদারদের দোসর ওয়াহেদ সরদারের নামে সড়কের নামকরণের প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু।
দেশের সকলে জানেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় দেশ ছেড়ে প্রথমে রেঙ্গুন পরে সোজা পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়েছেন। কারণ তিনি কোনোভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বিজয়কে মেনে নিতে পারেন নি। শুধু তাই নয়, সেখানে গিয়ে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
বাংলাদেশকে যাতে জাতিসংঘ স্বীকৃতি না দেয় সে জন্য পাকিস্তান সরকার ত্রিদিব রায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলকে জাতিসংঘে পাঠায়। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ত্রিদিব রায়কে জাতিসংঘ থেকে ফিরিয়ে আনতে তার মা বিনীতা রায়কে বাংলাদেশ থেকে জাতিসংঘে পাঠিয়েছিলেন।
কিন্তু ত্রিদিব রায় এতটাই কট্টরপন্থী পাকিস্তানী ছিলেন যে নিজের মায়ের অনুরোধ উপেক্ষা করে সেখানে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। ধারণা করা হয় সে সময় তার প্রচারণার প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে চীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিল বলেই প্রথমবার বাংলাদেশের সদস্যপদ পাওয়া আটকে গিয়েছিল।
শুধু কি তাই? এরপরও ত্রিদিব রায় পাকিস্তানে আমৃত্যু ছিলেন, সেখানে পাকিস্তানীরা তার আনুগত্যে মুগ্ধ হয়ে তাকে বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রদূত করে বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছে। মন্ত্রিত্ব দিয়েছে, পাকিস্তানীদের দেওয়া সেই মর্যাদা তিনি আজীবন ভোগ করেছেন। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানেই তার মৃত্যু হয়েছে।
ত্রিদিব রায়ের ’৭১ সালের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করেছেন লন্ডন-ভিত্তিক ভারতীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রিয়জিত দেব সরকার, যার বই ‘দ্য লাস্ট রাজা অফ ওয়েস্ট পাকিস্তান’ গত বছর প্রকাশিত হয়েছে। এই বইতে লেখক উপমহাদেশের বিশাল ক্যানভাসের মধ্যে চাকমাদের ইতিহাসের প্রাসঙ্গিকতার একটি জীবন্ত চিত্র এঁকেছেন। রাজা ত্রিদিব রায়-এর রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা ব্যাখ্যা করার জন্যই প্রিয়জীত দেবসরকার তাঁর বই-এর নামে তাঁকে ‘পশ্চিম পাকিস্তানের শেষ রাজা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
মি: দেবসরকারের মতে, ১৯৫৩ সালে সিংহাসনে আরোহণ থেকে শুরু করে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ত্রিদিব রায় নিজেকে পশ্চিম পাকিস্তানের এক জাতিগোষ্ঠীর রাজা হিসেবে দেখেছেন। রাজা ত্রিদিব রায় খুব চিন্তা-ভাবনা করেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
মি: দেবসরকারের গবেষণা মতে, ত্রিদিব রায়-এর সিদ্ধান্ত ছিল আত্মস্বার্থ-কেন্দ্রিক। নিজের রাজত্ব এবং স্বায়ত্তশাসন টিকিয়ে রাখতেই ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন। “উনি চাইছিলেন তাঁর রাজত্ব এবং রাজ পরিবারের শাসন যেন বজায় থাকে, যদিও অনেক সাধারণ চাকমা তাঁর নীতির বিপক্ষে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন”, মি: দেবসরকার বলেন। বইটির ভিত্তি হচ্ছে দালিলিক গবেষণা, অর্থাৎ প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত দলিল ছিল বইটির মৌলিক উপাদান। গবেষণার কাজ হয়েছে বিশ্বর বিভিন্ন অঞ্চলে – বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি থেকে শুরু হয়ে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, তারপর শ্রী লংকা এবং থাইল্যান্ড হয়ে আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্স।
বই-এর শুরুতে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে, বিশেষ করে আরাকান এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকমাদের আগমন এবং প্রভাব বিস্তারের ইতিহাস। এর পরে এসেছে, দিল্লিতে মোগল বাদশাহদের সাথে চাকমা রাজাদের সম্পর্ক এবং ব্রিটিশ শাসন শেষে পার্বত্য চট্টগ্রামকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অধীনস্থ করার সিদ্ধান্ত।
পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিমরা সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও এলাকাটি পাকিস্তানের সাথে সংযুক্ত করা হয়। স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ-এর এই সিদ্ধান্ত অনেককে অবাক করলেও, তৎকালীন চাকমা রাজা নালিনক্সা রায় খুশিই হয়েছিলেন। ভারতীয় কংগ্রেসের নীতি বেশ সোজা-সাপটা ছিল, বলছেন মি: দেবসরকার। তারা স্বাধীন ভারতে কোন ধরনের স্থানীয় রাজা-রাজকুমার বা রাজকীয় ক্ষুদ্র রাজ্য বরদাশত করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। কাজেই, চাকমা রাজার পক্ষে ভারতে যোগ দিয়ে রাজত্ব টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হতো।
“আপনি যদি একটু পেছনে যান, আপনি দেখবেন চাকমারা ব্রিটিশ ভারতে সব সময় স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে আসছে। তাদের কিন্তু সব সময় একটি আলাদা রাজত্ব, আলাদা পরিচয় ছিল,” মি: দেবসরকার বলেন।
রাজা ত্রিদিব রায় মনে করেছিলেন পাকিস্তানের সামরিক শাসনই পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকমাদের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করবে। শুরু থেকেই তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক এবং বেসামরিক আমলাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
অন্যদিকে, পূর্ব পাকিস্তানের উদীয়মান জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা স্থানীয় রাজনৈতিক গোষ্ঠীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকে তিনি কম গুরুত্ব দেন। এমনকি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা শেখ মুজিবের ব্যাপক বিজয়-এর পরেও তিনি তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করেন নি।
মি: দেবসরকার বলছেন, ত্রিদিব রায় ১৯৭০-এর নির্বাচনের আগে শেখ মুজিবের সাথে দেখা করলে তিনি তাঁকে আওয়ামী লীগ-এর প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেবার অনুরোধ জানান। মুজিব ত্রিদিব রায়কে আশ্বাস দেন, যে তাঁর দল বিজয়ী হলে পার্বত্য এলাকার উন্নয়নে তিনি সহায়তা করবেন। “কিন্তু রাজা ত্রিদিব রায়-এর মূল লক্ষ্য ছিল তাঁর রাজত্বের স্বায়ত্তশাসিত মর্যাদা রক্ষা করা এবং আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, সে বিষয়ে হয়তো কোন সমস্যা ছিল”, মি: দেবসরকার বলেন। তবে মি: দেবসরকার মনে করছেন, ত্রিদিব রায় ভেবেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান নির্বাচনের ফলাফলকে কোন না কোন ভাবে নাকচ করে দিতে পারবেন। “উনি যেহেতু পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং তাদেরকে অনেক উন্নত মানের বাহিনী মনে করতেন, তিনি ভেবেছিলেন যে তাদের বিরুদ্ধে বিদেশী কোন হুমকি কাজ করবে না এবং তারা সব কিছু সামলে নিতে পারবে,” তিনি বলেন।
লেখক তাঁর কাজ ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসেই শেষ করে দেননি, কারণ ত্রিদিব রায়-এর রাজনৈতিক জীবন ১৯৭১-এর পর থেমে থাকে নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো ১৯৭৩ সালে রাজা ত্রিদিব রায়কে দেশের প্রেসিডেন্ট হবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি বৌদ্ধ ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হতে চাননি বলে পদ গ্রহণ করতে পারেননি। কিন্তু তারপরও, মি: দেবসরকার তাঁর উপসংহারে লিখছেন, “ত্রিদিব রায় ছিলেন এমন একজন রাজা যিনি শুধুমাত্র ব্যক্তি স্বার্থ-র জন্য তাঁর রাজত্ব হারিয়েছেন”। চাকমাদের ৫০তম রাজা ত্রিদিব রায়-এর নাম ১৯৭২ সালের দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তিনি সেই অভিযোগ মোকাবেলা করার জন্য কখনো বাংলাদেশে ফিরে আসেননি এবং ৭৯ বছর বয়সে ২০১২ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি নির্বাসনে ছিলেন। – দ্য লাস্ট রাজা অফ ওয়েস্ট পাকিস্তান, ১৬১ পৃষ্ঠা। প্রকাশক: কুইনটাস।
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায়, চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় কি ভয়ঙ্কর রাজাকার ছিলেন। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হয়ে গেলেও আদালতের নির্দেশ থাকার পরও কি করে তার নামে রাঙামাটি শহরে সড়ক ও স্থানের নাম থাকে সে প্রশ্ন রইলো রাঙামাটির জেলা প্রসাশক, জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, আওয়ামী লীগ ও গণ জাগরণ মঞ্চের নিকট? স্বাধীনতার মাসে এ প্রশ্নের উত্তর তারা দিবেন এ প্রত্যাশা দেশবাসীর।