॥ আলহাজ্ব এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ ১৯৭৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বপ্রথম ও তৎকালীণ একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি এবং ১৯৮১-৮৩ সনে সর্বপ্রথম দৈনিক সংবাদপত্র দৈনিক গিরিদর্পণ প্রকাশিত না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক অধিক কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সৃষ্টি হতো না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সংস্কৃতি কৃস্টি এত উন্নত হতো না এবং দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করতে পারতো না।
একথা কেউ স্বীকার করুক বা নাই বা করুক সাপ্তাহিক বনভূমি এবং দৈনিক গিরিদর্পন সংবাদপত্র, সাংবাদিকতা, সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস এবং পথিকৃত সংবাদপত্র।
মংছেনচীন মংচিন ও শোভা ত্রিপুরা স্বামী-স্ত্রী ২০১৬ এ ২ শে পদক এবং ২০১৭ সনে বেগম রোকেয়া পদক প্রাপ্তি তার জলন্ত প্রমান।
শুধু জলন্ত প্রমান নয় বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বামী-স্ত্রী দুটি সরকারী পদক প্রাপ্তির ঘটনা বিরল। এটা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনগনের জন্য অনেক বড় পাওনা।
মংছিন শোভা দেশ বিদেশ থেকে অনেক সম্মাননা অর্জন করেছে। এছাড়াও কবি বৃত্তিকা চাকমা দেশ বিদেশ থেকে অনেক সম্মাননা লাভ করেছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে অনেকেই সম্মাননা নেয়।
তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি বান্দরবান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় তিনটি উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউট (বর্তমানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতি ইনিষ্টিটিউট) সরকারীভাবে যে সব প্রকাশনা করেছে মংছেনচীং মংচিন ও শোভা ত্রিপুরা, মৃত্তিকা চাকমা, ব্যক্তিগত উদ্যোগে যা করেছে তা কোন অংশেই কম নয়।
মংচিন এবং শোভা ত্রিপুরা অন্যান্য কবি, সাহিত্যকদের মত ১৯৭৮ সন থেকে সাপ্তাহিক বনভূমি ও ১৯৮৩ সনে দৈনিক গিরিদর্পণ এর মাধ্যমে হাতে খড়ি। যা এ পর্যন্ত চালু রয়েছে।
পথ পরিক্রমায় কত উত্থান পতন, বাধা বিপত্তি, অনেক এসেছে তা ডিঙ্গিয়ে এখনও অব্যাহত রেখেছে।