সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো.আব্দুল মান্নান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস এম মনির-উজ-জামান, নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার ও জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা।
মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কোনো কিছু পাওয়ার আশায় আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেননি। মুক্তিযোদ্ধারা প্রিয় মাতৃভূমিকে পাকিস্তানি হায়েনাদের হাত থেকে মুক্ত করতে যুদ্ধ করেছেন। তাঁদের কাছে আমরা চিরঋণী।’
সুন্দর আলী নামে একজন মুক্তিযোদ্ধার কাহিনী তুলে ধরে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘সুন্দর আলী আমার এলাকার একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি কোন সার্টিফিকেটও নেননি। শেষ জীবনে তিনি দাঁড়োয়ানের চাকরি করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কেউ যদি সার্টিফিকেট বা সুযোগ সুবিধা লাভের আশায় যুদ্ধ করেছে বলে তাহলে সেটি ভুল। এখনও অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন যারা সার্টিফিকেট পায়নি। সার্টিফিকেট নেওয়ার প্রয়োজনবোধও মনে করেননি। তারা শুধু প্রিয় মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে যুদ্ধ করেছেন।’
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ছিলেন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পতিদেরও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা্ দিয়েছেন।’
পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘কারও যদি কোনো সহযোগিতা লাগে তাহলে আমার কাছে আসবেন। আমি ব্যক্তিগতভা্বে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব কিছু করার। অন্তত কাউকে খালি হাতে ফিরে যেতে হবে না।’
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভাশেষে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ফুল ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।