ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক দমনে নয় : মোস্তাফা জব্বার

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশ দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে, ফলে ডিজিটাল অপরাধও বাড়ছে। তাই শুধু সরকার নয়, সাংবাদিকসহ সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে বলে মনে করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। মোস্তাফা জব্বার বলেন, অনেকেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সাংবাদিকদের দমন করার জন্য বলে মন্তব্য করছেন। কিন্তু আইনটি সাংবাদিকদের দমনের জন্য নয়। এমনকি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিংবা কারো বাকস্বাধীনতা হরণ করতেও করা হয়নি।

বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে  ‘বাংলাদেশে মুক্ত গণমাধ্যমের বর্তমান চিত্র’ শীর্ষক এক সেমিনারে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এমআরডিআই ও ফোয়ো মিডিয়া ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় সেমিনারটির আয়োজক ছিল কমলওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ), বাংলাদেশ। সংবাদপত্র রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। প্রিন্ট মিডিয়ার দায়বদ্ধতা রয়েছে। কারণ তারা প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে পত্রিকা প্রকাশ করছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করতে হবে, বলেন মন্ত্রী। মোস্তাফা জব্বার বলেন, আসলে ডিজিটাল অপরাধ দমনের জন্যই এমন আইন করা হয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীরা এই আইনের কিছু ধারা নিয়ে আপত্তি করেছেন। আমরা সেটি ভেবে দেখতে তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করবো। তবে এটি কোনো ভাবেই সাংবাদিকদের দমন করার জন্য করা হয়নি। মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে অপরাধের ভয়বহতা বেড়ে চলেছে। বক্তিগত তথ্য চুরি হচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়া থেকে আমরা কেউই রক্ষা পাচ্ছি না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও বিরূপ মন্তব্য থেকে রক্ষা পাননি। আমরা সবাই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু ইন্টারনেটকে নিরাপদ রাখাটাই এখন আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কমনওয়েলথ জার্নলিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক, ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত। সেমিনারে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম ও ব্যারিস্টার তানজীব উল আলম।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031