॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, লিটন ভট্টচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ সশস্ত্র সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ কর্তৃক ভাড়ায় মাইক্রো চালক মো: সজিবের হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও তিন বাঙালি কাঠ ব্যবসায়ীদের উদ্ধারের দাবীতে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্তর হতে সকাল ১১.ঘটিকায় কালো পতাকা মিছিল-বিক্ষোভ করেছে শাপলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ, খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
সভাপতি মাঈন উদ্দিন জানান, মাইক্রোবাস চালক সজিব হত্যার প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করা হবে। গত ১৬ এপ্রিল মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি এলাকা থেকে অপহৃত তিন বাঙালিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার এবং সন্ত্রাসীদের আটক করা না হলে ৭২ ঘণ্টার হরতালের হুমকি দেন তিনি।
পার্বত্য এলাকা এই মূহুর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে অনিরাপদ ও বিপদগ্রস্ত অঞ্চল। এখানে প্রতিদিন রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উপজাতীয় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত দুই দিনে সাধারণ বাঙালি সজিব সহ গুলি করে হত্যাকরা হয়েছে ৬ জনকে। ইউপিডিএফ, জেএসএস এর আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে নিরীহ বাঙ্গালী সজীবকে কেন হত্যা করা হলো। পার্বত্যবাসী জানতে চাই আঞ্চলিক সংগঠন গুলির কাজ থেকে।এ দিকে আঞ্চলিক সংগঠন চাঁদা বাজীতে অতিষ্ঠ পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সবাই। যাত্রী ও পর্ণ গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, ড্রাইভার ও হেলপার অপহরন করে চাঁদা দাবী করা সহ ব্যবসায়িরা এই পরিস্থিতে খুব দুচিন্তায় পরেছে।
বক্তব্য রাখেন মাঈন উদ্দীন, কেন্দ্রীয় যুগ্ন আহবায়ক ও বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা। আরো বক্তব্য রাখেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের মাটিরাঙা উপজেলা উপজেলা আহবায়ক মো: এস এম হেলাল, জেলা জৈষ্ঠ সহ সভাপতি মো: মহিউদ্দীন মাহি, যুগ্ন সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা সহ সাম্পাদক রবিউল হোসেন, জেলা সাংগঠনিক পারভেজ আলম, খাগড়াছড়ি কলেজ আহবায়ক মো: ইব্রাহিম খলিল, টেকনিক্যাল কলেজ সভাপতি মো: সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের মাটিরাঙা উপজেলা আহবায়ক মনজুর আলম মঞ্জু ,সদস্য সচিব মো: আরিফুর রহমান স্বজল, দিঘীনালা কলেজ সভাপতি মো: আলামিন হোসেন ও সা.সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন শাখার অন্যান্য প্রমুখ।
উল্ল্যেখ গত ১৬ই এপ্রিল ২০১৮ ইং তারিখে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙা উপজেলার বাসিন্দা তিন বাঙালি কাঠ ব্যবসায়ী মো: সালাউদ্দীন, মো: বাহার মিয়া(ড্রাইভার) ও মহরম আলী কাঠ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে জেলার মহালছড়ির মাইসছড়িতে গেলে সেখান থেকে তাদের অপহরন করা হয়