মিয়ানমার সহায়তা করছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বছরের প্রথম তিন মাসে তিন কোটির বেশি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারের তথ্য জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এই মাদক পাচার বন্ধে মিয়ানমার সহায়তা করছে না

মাদকবিরোধী অভিযান চলার মধ্যে সোমবার সংসদে এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্তরে একথা বলা হয়।

বাংলাদেশে এখন মাদকের মধ্যে ইয়াবাই সবচেয়ে আলোচিত, যা মূলত মিয়ানমার হয়ে চোরাই পথে এসে থাকে।

ফেনসিডিলের মতো মাদক পাচার বন্ধে ভারতের সহযোগিতা পাওয়া গিয়েছিল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে জানিয়েছিলেন। তখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগও করেছিলেন তিনি।

সোমবার কামাল সংসদে বলেন, ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“এতে মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাবে এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি।”

মন্ত্রী জানান, ২০১৬ সালে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ১৭৮টি এবং ২০১৭ সালে ৪ কোটি ৭৯ হাজার ৪৪৩টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত উদ্ধার হয় ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬১১টি ইয়াবা ট্যাবলেট।

ইয়াবার প্রবাহ বন্ধে কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি বিশেষ জোন স্থাপনের কথাও মন্ত্রী জানান।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে তিনি বলেন, “মাদক সম্রাট বা মাদক গড ফাদারদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা ধরে অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।”

তিনি জানান, ২০১৬ সালে ৮৭ হাজার ১৪ জন মাদক বিক্রেতার বিরুদ্ধে ৬৯ হাজার ৬৩৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এক লাখ ৩২ হাজার ৮৮৩ জনের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৩৬টি মামলা হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ২৭ হাজার ৩৪০টি মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্যও সংসদকে জানানো হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, গত বছর ১২ হাজার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাদক সংক্রান্ত ৫ হাজার ৯৯১টি মামলা করা হয়েছে। চলতি বছর মে পর্যন্ত ৪ হাজার ৭৫৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২ হাজার ৪১৬টি মামলা করা হয়েছে। এ সময় দুই হাজার ৬৫৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

মাদক আইনে শাস্তি বাড়ানোর উদ্যোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এতে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।”

কোটি ৫৮ লাখ মানুষ অর্থনৈতিক কর্মে নেই

লেবার ফোর্স সার্ভের উদ্ধৃতি দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানান, কোনো ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত নন এমন জনশক্তির সংখ্যা ৪ কোটি ৫৮ লাখ।

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৬ কোটি ৮ লাখ কর্মে নিয়োজিত এবং ২ কোটি ৭০ লাখ বেকার।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যান তুলে ধরে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ বছরের কম বয়সী ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ, পনের থেকে ৬৪ বছর পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রতিবন্ধী জনসংখ্যার হার দশমিক ৯০ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও নারী দশমিক ৮৩ শতাংশ।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930