॥ ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই ॥ কাপ্তাইয়ের জেটিঘাট এলাকাস্থ আল আমিন নূরীয়া দাখিল মাদ্রাসার পাপড়ি (ছদ্ম নাম) নামক এক ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীকে দীর্ঘদিন যাবত প্রেমের প্রস্তাব, রাস্তাঘাটে ইভিটিজিং করার অপরাধে আজ মঙ্গলবার সকালে মো. মুসা নামক একজন ট্রাকের হেল্পারকে প্রমাণাদি সহকারে হাতনাতে আটক করে ১০মাস ১০দিনের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, কাপ্তাই ফাঁড়ি ইনচার্জ আব্দুর রহমান পাঁঠান।
ইভটিজিং স্বীকার মাদ্রাসা ছাত্রীর বড় ভাই নিজাম বাবু জানান, কাপ্তাইয়ের জেটিঘাট এলাকায় মুসা নামক এক ট্রাকের হেল্পার দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বাসার নাম্বারে ফোন করে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। আমার বোন মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার সময় সে প্রতিদিন ইভটিজিং করতো। অবশেষে গতকাল রাতে বাড়ির জানালা দিয়ে একটি চিঠি, বেসলেট, মোবাইল প্যাকেট করে তার মোবাইল নাম্বার লিখে ছুড়ে মারে। তৎক্ষাণাত আমার বোন আত চিৎকার দেয় এবং প্রচন্ড ভয় পেয়ে বিষয়টি পরিবারের সকলকে অবহিত করে এবং আজকে আমরা কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করি।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন এই প্রতিবেদককে জানান, কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ি এবং স্হানীয় চেয়ারম্যান হতে অভিযোগ পেয়ে আজ সকালে কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকায় অভিযুক্তকে আটকে করে প্রমানাদি সহ মাদ্রাসা ছাত্রীকে ইউটিজিং ও উক্তত্য করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কাপ্তাইয়ের শিলছড়ির ইসহাকের পুত্র মো. মুসাকে (২৫) দন্ডবিধি ৫০৯ এ ১০মাস ১০দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তাকে আজ রাঙামাটি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকীদেরও খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আশ্রয়ে আনা হবে এবং এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন জানান, কোন নারীকে ইভটেজিং করে কেউ পার পেতে পারবেনা।