ঘাগড়া বাজারে বীর মুক্তিযাদ্ধা অনিল পাইক এর বাড়ী ঘর গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ : খোলা আকাশের নীচে ঘাগড়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বিনা নোটিশে রাঙ্গামাটির ঘাগড়া বাজারে বীর মুক্তিযাদ্ধা অনিল পাইক এর বাড়ী ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে মুক্তিযোদ্ধা অলিন পাইক ও তার পরিবার এবং স্থানীয় এলাকাবাসী। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারটি খোলা আকাশে নীচে বসবাস করছে। গতকাল বিরোধকৃত সরকারী খাস জায়গায় কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আদালতের আদেশে উচ্ছেদ করে সেমি পাকা ঘর গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের লোকজন। বাড়ীর সমস্ত মালামাল ঠাকুর ঘর সহ সমস্ত কিছু বাইরে ফেলে দিয়ে বাড়ীর টিনের চাল কেটে বাড়ীর ওয়াল ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনার পর অনিল পাইকের স্ত্রী হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
অসুস্থ অনিল পাইক জানান, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে দীর্ঘ বছর ধরে ঘাগড়া এলাকায় বসবাস করছি। ১৯৯৬ সালে প্রয়াত হেডম্যান ¯েœহ কুমার দেওয়ানের সুপারিশে ০১৫ শতক জমি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক বরাবরে বন্দোবস্তী পাওয়ার আবেদন করি। এর পর বিশ্বজিৎ চাকমার সাথে আবুল কালাম গং এর সাথে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলার আলোকে বিজ্ঞ আদালত ১৯/১১/১৯৯৭ সালে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক প্রেিবদনে উল্লেখ করেন, কাউখালী থানাধীন ৯৯ নং ঘাগড়া মৌজার বিরোধীয় ১৬৩/ক নং খতিয়ারের সরজমিনে তদন্ত ও পরিমাপ করা হয়। পরিমাপ ক্রমে দেখা যায় বাদীর ১৬৩/ক নং খতিয়ারের ১৫৪৯ নং দাগের আংশ প্রায় ০৪ একর জমির উপর ১ নং বিবাদী আবুল কালাম পিতা আবদুল মজিদ দুইখানা বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছে।
২ নং বিবাদী অনিল পাইক পিতা মৃতঃ হরিপদ পাইক যে জমির উপর ঘর নির্মাণ করিয়াছেন উক্ত জমি সরকারী খাস এবং ছড়ার অংশ বিধায় উক্ত জমি বাদীর রেকডীয় জমি নয়। এই বলে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই কথা বলা হয়।
কিন্তু দীর্ঘ বছর পর কেন আমাকে আবার নতুন করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। আমার ছেলে মেয়েদের কষ্টে ছোট একটি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছি। সরকারের খাস জায়গায় আমি বন্দোবস্তী পাওয়ার আবেদন থাকা সত্বেও আমাকে কোন প্রকার নোটিশ ও মৌখিক কোন নির্দেশ ছাড়া আমার বাড়ীঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে। আমার পূজার আসন সহ ঠাকুরের ছবি সহ সব কিছু ভেঙ্গে দিয়েছে।
তারা ছেলেরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব। তার আমলে এসে প্রশাসনের এই ধরনের নোংড়া হস্তক্ষেপ আমাদের মতো মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর পড়েছে তাতে আমরা সবাই ক্ষুব্ধ। প্রশাসনের লোকজন আমার মাকে ধাক্কা মারা ফলে আমার এখন হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অচেতন অবস্থায় রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
তিনি বলেন, সরকার উচ্ছেদ করতে এসেছে অন্য জনের জায়গা কিন্তু তারা কেনো আমাদের জায়গা উচ্ছেদ করলো তা আমার ভেবে পাচ্ছি না। একটি কোন সাম্প্রদায়িক চিন্তা ভাবনা করে তারা আমাদের বাড়ীঘর ভেঙ্গে দিয়েছে নাকি আবার বাবা মুক্তিযোদ্ধা বলে তাকে সরকারের এই খাস জায়গা থেকে উচ্ছেদ করেছে এটা আমাদের প্রশ্ন। আমার মা হাসপাতালে আছেন। আমার বাবা প্যারালাইজড অবস্থায় আছে। কার কাছে গিয়ে আমরা আশ্রয় নেবো তা বুঝে উঠতে পারছি না।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আমাদেরকে কাছে ৩ দিন আগে একটি চিঠি ঘাড়গায় একটি উচ্ছেদ অভিযান হবে। সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘœ ঘটতে পারে তার জন্য আমাদেরকে উপস্থিত থাকার জন্য। আদালতের আদেশেই আমরা উচ্ছদ অভিযানে অংশ গ্রহণ করছি।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসককে বদলিজনিত ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব কর্মময় জীবনে জেলাবাসীর পাশাপাশি সাংবাদিকরাও অনেক সাহায্য করেছেন —–মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান জেলা প্রশাসক হিসেবে তিনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শক্তহাতে সমাধান করেছেন —-এ কে এম মকছুদ আহমেদ

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031