চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চট্টগ্রামে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। বুধবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তারই নির্দেশনায় ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি, কমান্ড সম্প্রসারণ, আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম সংযুক্তি, উন্নত আবাসন ব্যবস্থাসহ উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নতুন ইউনিট, ব্রিগেড ও ডিভিশন প্রতিষ্ঠা এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর তথা দেশের প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নৌবহরে যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত উন্নতমানের যুদ্ধ জাহাজ, সাবমেরিন হেলিকপ্টার এবং মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট। এছাড়াও সমুদ্রের তলদেশে যুদ্ধের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নবযাত্রা এবং জয়যাত্রা জাহাজ সংযুক্তির পাশাপাশি আরও ৪টি যুদ্ধ জাহাজ সংযোজনের প্রক্রিয়া চলছে।এসএম মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্বস্ততা ও নির্ভরতার প্রতীক। বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এফএম-৯০ মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের আকাশসীমা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট সমূহে এবং বর্ডারগার্ড বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় রসদ সামগ্রী সরবরাহ করা, জরুরি রোগী পরিবহন এবং বিভিন্ন অপারেশনে সহায়তা প্রদান করা হয়। এখান থেকে যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান এবং হেলিকপ্টার সেনা ও নৌ বাহিনীর অপারেশনাল মিশন সমূহে সফলভাবে অংশ নেয়।মঞ্চে এসময় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, এয়ার অফিসার কমান্ডিং এয়ার কমডোর মো. মফিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সংসদ সদস্য ড. হাসান মাহমুদ, নজরুল ইসলাম, ওয়াসিকা আয়েশা খান, সাবিহা নাহার মুসা, বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, নানা শ্রেণি ও পেশার ব্যক্তি এবং কূটনীতিকরা।পরে অতিথিদের নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কেক কাটা হয়। সম্মাননা দেওয়া হয় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30