মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হল মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের এযাবৎ কালে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান “অগ্রযাত্রার ৩০ বছর” পূর্তি উৎসব। ১৮ মার্চ শনিবার কলেজ মাঠে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
সকাল ১০টায় মাতামুহুরী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালী লামা বাজার প্রদর্ক্ষিণ করে মাতামুহুরী কলেজে অনুষ্ঠানস্থলে গিয়ে শেষ হয়। কলেজের এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমগ্র লামা উপজেলায় সকল মানুষের মাঝে আনন্দ, উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।
শুরুতে অতিথিদের আসন গ্রহণ, ফুল দিয়ে বরণ, ক্রেষ্ট প্রদান, কলেজের কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান, কলেজ সৃষ্টিতে অবদানকৃত মহান ব্যাক্তিদের সম্মাননা, ‘শৈল দ্যুতি’ নামক স্মরণিকা মোড়ক উম্মোচন ও স্মৃতিচারণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মাতামুহুরী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। বিশাল এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার ১ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ ইলিয়াছ, বান্দরবান সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার যুবায়ের সালেহীন, লামা-আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার সারোয়ার হোসেন পি.এস.সি, অগ্রযাত্রার ৩০ বছর’ পূর্তি উৎসব কমিটির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোঃ মাকসুদ, লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু সহ কলেজের প্রভাষক, সাংবাদিক, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক, প্রাক্তন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, লামা উপজেলা প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আলী মিয়া এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ মাতামুহুরী কলেজ একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপ নিয়েছে। এসময় তিনি কলেজ প্রতিষ্ঠায় সেনাবাহিনী, বাস-জীপ মালিক সমিতি, বাশঁ ও গাছ ব্যবসায়ী সমিতির অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি ৩০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যারা শ্রম, মেধা ও অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য জন্য ১টি কলেজ বাস ও শিক্ষা সফরের জন্য নগদ ২লাখ টাকা অনুদান প্রদান করেন। তাছাড়া কলেজের কনফারেন্স রুম নির্মাণ, সীমানা প্রচীর তৈরি, রাস্তা সংস্কার, একটি মিনি স্টেডিয়াম ও নতুন ভবন তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন।