॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির শুকরছড়ি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গামাটিতে স্থাপিত ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গামাটিতে ১৩২/৩৩ কেভি উপকেন্দ্র উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় তিনি দেশের অন্যান্য জায়গায় আরো ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রিয়াদ মেহমুদ, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসে চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙ্গামটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমাসহ সকল সরকারী দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ এর সঞ্চালনায় এই ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন, সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এছাড়াও রাঙ্গামাটি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী রিয়ামনি চাকমা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের উপকারভোগী ও নারী উদ্যেক্তা লিপি চাকমা, মৎস্যজীবি প্রদীপ দাস সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেন। বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তারা উপকৃত হয়েছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পাহাড়ে বিদ্যুৎতায়নের জন্য ৭০০ কোটি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যাতে পাহাড়ের মানুষ অন্ধকারে না থাকে, বিদ্যুৎ এর আলোয় আলোকিত হয়। তিনি পার্বত্য এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণের আবাসিক হিসেবে নির্মাণ করতে নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কাপ্তাই লেকে মাছ বন্ধকালীন সময়ে যেন খাচায় মাছ চাষ করা হয় ও কৃষকরা যেন মাছের চাষের পাশাপাশি শাক সবজি চাষ করে এবিষয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের কাজ করার নির্দেশ দেন।
এসময় সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় এখন বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করছে সেখানকার মাধারণ মানুষ। জুরাছড়ি ও বরকলের মানুষ কখনো কল্পনা করতে পারে নাই তারা বিদ্যুৎ আওতায় আসবে। শুধু তাই নয় প্রত্যান্ত এলাকার মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। একারণে এখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অনেকটা এগিয়ে গেছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ধীরগতির কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া রাঙ্গামাটির পর্যটনের উন্নয়নে রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে বলে আশাব্যক্ত করেন।