পাহাড়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের সমস্যাগুলো সমাধানে সবাইকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে—বৃষ কেতু চাকমা

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও দেশের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, সমতলের চাইতে পার্বত্য জেলার মানুষ বিভিন্ন দিক দিয়ে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে পরিষদ এ সভার আয়োজন করে থাকে। যাতে সভায় এ জেলার উন্নয়নের সমস্যাগুলো আলোচনা হয় এবং সমস্যাগুলো সমাধানে সমন্বিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। তিনি বলেন, আমরা অনুন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই পার্বত্য জেলাগুলোকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের পরিচালনায় জেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য নুরুল আলম, সহকারী পুলিশ সুপার রনজিত কুমার পালিত, সিভিল সার্জন ডা: শহীদ তালুকদার, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল’সহ জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী পুলিশ সুপার রনজিত কুমার পালিত বলেন, রাঙ্গামাটি জেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেকোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও মাদক বিক্রী ও সেবনের কোন তথ্য থাকলে তা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক রতন কুমার নাথ বলেন, লংগদু ও রাজস্থলী উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ কাজ এ অর্থ বছরে সমাপ্ত হবে। এছাড়া জায়গা নির্ধারণ না হওয়ায় সদর উপজেলায় রিভার ফায়ার স্টেশন ও বরকল এবং জুরাছড়ি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। তিনি বলেন, বিভিন্ন দুর্যোগ, অগ্নিকান্ডে উদ্ধার অভিযানের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ফিস কালচারিষ্ট মোঃ ইসরাইল হক ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান জানান, কাপ্তাই হ্রদে অবৈধ জাক, মশারী জাল, কারেন্ট জাল ও পানির নিচে থাকা গাছের গোড়া তুলে ফেলার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া অভয়াশ্রমে জেলেরা যাতে মৎস্য শিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে বিভাগ হতে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করে হচ্ছে এবং আগামী মে মাসে মৎস্য বিভাগ হতে কাপ্তাই হ্রদে ৩০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছ অবমুক্ত করা হবে।
সভায় উত্তর, দক্ষিণ বন বিভাগ, ঝুম নিয়ন্ত্রণ, ইউএসএফ ও পাল্পউড বাগান বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাগণ জানান, মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১কোটি গাছের চারা রোপণের লক্ষ্যে চারা উত্তোলন কাজ চলমান রয়েছে। যার মধ্যে ৫০ভাগ দেশীয় ফলের চারা রয়েছে। প্রাপ্ত তালিকা অনুযায়ী চারাগুলো বিতরণ করা হবে।
সভায় উপস্থিত অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30