চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও সচিব পদে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক রোধে টাস্কফোর্সের অভিযান আরো জোরদার করতে হবে। একটি ইয়াবা ট্যাবলেটও যাতে এখানে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি চোরাচালান, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ছিনতাই, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি ও অন্যান্য অপরাধ রোধে সকল সংস্থার কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। মাদক পাচারকারী ও চোরাচালানীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সীমান্তবর্তী এলাকা ও অন্যান্য রুট দিয়ে ইয়াবার পাশাপাশি জ্বালানী তেল পাচার বন্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান দিনে বা রাতে পরিচালনা করা যাবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন, বিজিবি ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। অবৈধ পন্থায় যাতে কোন দেশের পণ্য দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে বা আমাদের দেশীয় পণ্য বাইরে যেতে না পারে সে দিকে নজর রাখতে হবে। টাস্কফোর্সের অভিযান আরো বেগবান করতে বিজিবিকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
আজ ২৯ জানুয়ারী ২০২০ ইং বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টাস্কফোর্স সভা, বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাগনের সাথে সমন্বয় সভা, জেলা প্রশাসকগনের সাথে সমন্বয় সভা ও বিভাগীয় রাজস্ব সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার অফিস পৃথক সভাগুলোর আয়োজন করেন। বিগত সভার সিদ্ধান্ত ও অগ্রগতি তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার অফিসের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইনামুল হাসান ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাবরিনা আফরিন মুস্তফা। চট্টগ্রামে প্রায় আড়াই বছর কর্মরত থাকাকালীন সময়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ, জেলা প্রশাসন, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টান/দপ্তরের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন বিভাগীয় কমিশনার। সভা চলাকালে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ায় তাঁকে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও বিদায় সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড আরো বেগবান করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিনি মাত্র ৩/৪ ঘন্টা ঘুমান। বাকী সময়গুলো দেশের জন্য ব্যয় করেন। প্রধানমন্ত্রীর মতো আমরা সবাই আন্তরিক ও দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করলে সরকারের ভিশন বাস্তবায়নসহ আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, বিভিন্ন অপরাধের কারনে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির পাচ্ছে। এগুলো দ্রুত নিস্পত্তির জন্য আদালতের বিচারক, পিপি ও সংশ্লিষ্টদেরকে আরো আন্তরিক হতে হবে।
পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমন, চুরি-ডাকাতি রোধ ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক সভাগুলোতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, বিজিবি’র রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিঃ জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিজিএফআই’র অধিনায়ক মোস্তাগাউছুর রহমান, বিভাগীয় স্থানীয় সরকার পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোঃ নুরুল আলম নিজামী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোঃ সামসুদ্দোহা, চিটাগাং চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোঃ মাহবুবুল আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন (চট্টগ্রাম), আবুল ফজল মীর (কুমিল্লা), তন্ময় দাস (নোয়াখালী), একেএম মামুনুর রশীদ (রাঙ্গামাটি), মো. মাজেদুর রহমান খান (চাঁদপুর), মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম (বান্দরবান), অঞ্জন চন্দ্র পাল (লক্ষ্মীপুর), মোঃ কামাল হোসেন (কক্সবাজার), প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস (খাগড়াছড়ি), মো. ওয়াহিদুজ্জামান (ফেনী), হায়াত-উদ-দৌলা খান (ব্রাহ্মণবাড়ীয়া), সওজ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আবদুল ওয়াহিদ, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, বিজিবি’র পরিচালক লেঃ কর্ণেল মোঃ মুনির হাসান, কোস্ট গার্ডের অধিনায়ক কমান্ডারএম শরীফুল হক খান, বিভাগীয় বনসংরক্ষক মোঃ আবদুল আউয়াল, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক মোঃ সামছুল আলম, ডিআইজি (প্রিজন) একেএম ফজলুল হক, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ আবু সাইদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ সুলতান মিয়া, আনসার-ভিডিপি’র উপ-মহাপরিচালক মোঃ সামছুল আলম, ডিআইজি (প্রিজন) একেএম ফজলুল হক, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ আবু সাইদ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মুজিবুর রহমান পাটওয়ারী, চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, চট্টগ্রাম জেলা পিপি এডভোকেট একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, চোরাচালান নিরোধ ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট হরিপদ চক্রবর্তী ও মহানগর পিপি এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ। পৃথক সভাগুলোতে বিভাগের জেলা পরিষদের সচিবগণসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে কর্মরত পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।