॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি ॥ খাগড়াছড়ি বাজারে চাল ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর চড়া দাম, প্রশাসন জরুরী ব্যবস্থা নিতে পাড়ে, খাগড়াছড়িবাসী প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন। এক শ্রেণির লোভী ব্যবসায়ী করোনা ভাইরাস এর অজুহাত দেখিয়ে চাল, ডাল, পেয়াজ, লবন, তৈল প্রত্যকটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী তারা সিন্ডিকেট করে ঐসব দ্রব্য সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে।
খাগড়াছড়ি প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাধারন জনগণ অনুরোধ জানিয়েছেন। যার ফলে অসহায় জনগোষ্ঠীর এসব মালামাল কিনতে পাড়ছে না। বর্তমানে খাগড়াছড়ির অবস্থা ঐসব সিন্ডিকেটধারী ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত দ্রব্য মূল্যের দাম যেকোন অজুহাত দেখিয়ে হাঠাৎ বৃদ্ধি করে নেয়। সবজি হতে শুরু করে মাছ, মাংস আবারো বৃদ্ধি করে নিচ্ছে। মাছ, মাংসের বাজারে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে।
খাগড়াছড়ি বাজারে কেন্দ্রীয় মসজিদ রোডে একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী পেয়াজ, তৈল, লবন, ডাল, চালের দাম বৃদ্ধি করে হঠাৎ যেকোন অজুহাতে গুদামে মওজুদ করে রেখে দেয়। অজুহাত পাইলে এ সুযোগ সন্ধানী লোভী ব্যবসায়ীরা এবং বিভিন্ন কলাকৌশলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। এখন দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস এর অজুহাত। অনতিবিলম্বে এসব ব্যবসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে।
এদিকে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা বাজারের কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভীষণ কান্তি দাশ। এসময় অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চালের অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরীর অভিযোগে ২ জন চাল ব্যবসায়ীর চার গুদাম সিলগালা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সাথে চড়া দামে চাল বিক্রির অভিযোগে চার ব্যবসায়ীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গত শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভীষণ কান্তি দাশ এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের খবর পেয়ে আগেই দোকান বন্ধ করে বাজার থেকে ছিটকে পড়েন চাল ব্যবসায়ী মো. আবু সওদাগর ও মো. আলম সওদাগর। পরে তাদের নিয়ন্ত্রিত চার গুদাম সিলগালা করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভীষণ কান্তি দাশ। একই সময়ে চড়া দামে চাল বিক্রির অভিযোগে মো. সোহাগ হোসেন ও মো. আইয়ুব আলীসহ চার চাল ব্যবসায়ীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযান কালে কয়েক‘শ ক্রেতা সহ খুচরা ব্যবসায়ীরা চড়া দামে চাল বিক্রিসহ মো. আবু সওদাগর ও মো. আলম সওদাগরের বিরুদ্ধে চালের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরী অভিযোগ করেন।
করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা বাজারের কিছু ব্যবসায়ী চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় জানিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভীষণ কান্তি দাশ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, দেশে খাদ্য সঙ্কট নেই। স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কারসাজি করে চালের সঙ্কট তৈরী করছে। বাজার পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব। কেউ যাতে গুজব ছড়িয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অন্যদিকে জেলার ৯টি থানায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। দীঘিনালা, পানছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলায় সকল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম হু হু করে বাড়ছে। বিভিন্ন সূত্র মতে বাজারজাত করার জন্য সেখানে কিছু কিছু ব্যবসায়ী এমনকি অবৈধ মালামাল পর্যন্ত গুদামে রাখা হয়েছে। খাগড়াছড়িবাসীগণ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন।