বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান বলেন, করোনার মতো শক্তিশালীর ভাইরাসের মত বৈশ্বিক মহামারী থেকে বাংলাদেশকে রক্ষায় দেশের সব দলমত ও শ্রেণি-পেশার নীতি নির্ধারকদের সমন্বয়ে জাতীয় কৌশলপত্র নির্ধারণ করতে হবে। কৌশলপত্রের সুপারিশ অনুযায়ী দেশের সকল স্থানে করোনা মোকাবিলার কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। সরকার, প্রশাসনের পাশাপাশি জনগণকেও ফলপ্রসুভাবে বিপর্যয় মোকাবিলায় সম্পৃক্ত করে করোনার সংক্রমন ও মৃত্যু মিছিল কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে কাতার সিরাতুল মুস্তাকিম ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে চট্টগ্রাম মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, কালামিয়া বাজার, নতুন ব্রীজ, কোতোয়ালী মোড়, চকবাজার, বড়দিঘীর পাড়, চান্দগাঁও সহ নগরীর বিভিন্ন স্পটে ৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে বিভিন্ন স্পটে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আল্লামা এম এ মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আব্দুস সামাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়্যব আলী, প্রচার সচিব আলহাজ্ব রেজাউল করিম তালুকদার, সিরাতুল মুস্তাকিম ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মুহাম্মদ নুরুল আবছার, ইসলামী ফ্রন্ট চট্টগ্রাম নগর উত্তর সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ নঈমুল ইসলাম, নগর দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম জিহাদী, দক্ষিণ জেলা সহ-সভাপতি মাষ্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, উত্তর জেলা সাধারন সম্পাদক মাওলানা ইয়াসিন হোসাইন হায়দরী, নগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন মাহমুদ, উত্তর জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক ছিদ্দিকী, যুবসেনা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, যুবনেতা এড. আরুছুর রহমান, যুবসেনা উত্তর জেলা সভাপতি মাষ্টার মুহাম্মদ ইছমাইল, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আলমগীর, মুহাম্মদ নুরুল আজিম জনি, মুহাম্মদ আমান উল্লাহ আমান, ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ছাত্রনেতা মুহাম্মদ মাছুমুর রশিদ কাদেরী, মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ছাত্রসেনা উত্তর জেলা সভাপতি মুহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আজাদ রানা, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন নেজামী, এ ডি এম জাহাঙ্গীর, আব্দুল করিম সেলিম, এস এম ইকবাল বাহার, মুহাম্মদ মুসা, মুহাম্মদ আরাফাত প্রমুখ। অন্যান্য বক্তারা বলেন, লক ডাউন বা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেই সরকার ক্ষান্ত হলে হবে না। দেশের একটি পরিবারও যেনো অভুক্ত না থাকে সে বিষয়ে সরকারী পদক্ষেপ জোরালো করতে হবে। সরকারী উদ্যোগ গুলো অতীতের মতো দুষ্টুলোকদের কবলে গেলে দেশে করোনার চেয়েও ভয়াবহ হবে উঠবে ক্ষুধা। তিনি বেসরকারী পর্যায়ের সাহায্য বাড়াতে বিত্তবানদের আহবান জানান এবং চিকিৎসা খাতে বেসরকারী ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে সরকারী নিয়ন্ত্রনে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বাড়াতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।