॥রাহুল বড়–য়া ছোটন, বান্দরবান॥ করোনা সংক্রামক মোকাবেলায় বান্দরবানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সড়কে কাজ করছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। জনসমাবেশ প্রতিরোধ, অপ্রয়োজনে সড়কে ঘোরাফেরা, স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলা এবং সামজিক দূরত্ব বজায় রেখে সড়কে চলাচল করতে জনসাধারণকে বিভিন্ন দিক নিদের্শনা প্রদান করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। বান্দরবানের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সদস্য ছাড়া ও পুলিশের সদস্যরা কাজ করছে।
আইন অমান্য করে সড়কে জমায়েত, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খোলা রাখা এবং সামাজিক দূরত্ব না মানা ব্যত্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বান্দরবানের সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) শাহীনুর আক্তার বলেন, আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সর্বত্র মাঠে অবস্থান করে কাজ করে যাচ্ছি, আমরা চাই জনগণ সচেতন হোক, নিরাপদে বাসায় থেকে এই মহামারি থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুক।
বান্দরবানের সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হাবিবুল হাসান বলেন, আমরা বান্দরবানে করোনা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দিন- রাত বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালাচ্ছে এবং আইন অমান্যকারীদের সর্র্তক করার পাশাপাশি জরিমানা ও আদায় করছে।
এদিকে এখনো বান্দরবানে এখনো কোন করোনা রোগী সনাক্ত না হলে ও বিভিন্ন সময়ে বিদেশ থেকে আসা প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইন ও হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করা ৩২ জনের দেহে করোনা আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য রক্তের নমুনা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম হাসপাতালে পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হলে বান্দরবানে কারো শরীরের রক্তে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি বলে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা জানান। বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অং সুই প্রু মারমা বলেন, বান্দরবানের জনসাধারণ অনেকটাই সচেতন, তাই আমরা এখনো ভালো আছি। আমারা যদি সবাই সচেতন হই তাহলে এই করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়াতে পারবে না, তিনি আরো বলেন, আমাদের সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ঘরে অবস্থান করতে হবে।
বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, বান্দরবান জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১৮৩ জনকে এই পর্যন্ত কোয়ারেইন্টানে রাখা হয়েছিল আর তার মধ্যে বর্তমানে হোম কোয়ারেইন্টানে রয়েছে ৬৩ জন আর প্রাতিষ্ঠানি কোয়ারাইন্টেনে আজ কেউ নেই।