॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥ চরম সমন্বয়হীনতার মধ্যে দিয়ে চলছে খাগড়াছড়িতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমিটির কার্যক্রম। করোনা সংক্রমণ এড়াতে জেলায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও খাগড়াছড়ি অভিমুখে শ্রমিকদের ¯্রােত যেন থামছে না। শুক্রবার রাতেও নারায়নগঞ্জসহ দেশেরে বিভিন্ন কারখানায় কর্মরত আরো ১৩শ ৭১ জন শ্রমিক খাগড়াছড়িতে প্রবেশ করেছে। তবে এ নিয়ে গত দুই দিনে দুই হাজার ৬শ ৫৯ জন শ্রমিক খাগড়াছড়িতে প্রবেশ করলেও এ সব শ্রমিকদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ। ফলে খাগড়াছড়ি জেলাবাসীর মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ ও আতংক।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এমন পরিস্থিিিতর জন্য সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন। তবে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকলের সাথে সমন্বয় করে সব কিছু বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ^াস করোনা সংক্রমণ রোধে খাগড়াছড়িতে প্রবেশ ও বাহির পথে নিষেধাজ্ঞা জারি করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। তবে বাস্তবে সে নিষেধাজ্ঞা প্রতিনিয়ত লংঘিত হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ ও আতংক দেখা দিয়েছে।
খাগড়াছড়িতে ২৪ ঘন্টায় নতুন ৩০ জনসহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ২৩৭ জন ও হোম কোয়ারেন্টিনে নতুন আরো ২৩ জনসহ ১৭৪ জন
॥ খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ॥
আইসোলেশনের রোগি সংখ্যা স্থিতি থাকলেও খাগড়াছড়িতে প্রতিদিন বাড়ছে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন ৩০ জনসহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ২৩৭ জন ও হোম কোয়ারেন্টিনে নতুন আরো ২৩ জনসহ ১৭৪ জন রয়েছে।
এছাড়া জ¦র ও কাশি নিয়ে পাঁচ গার্মেন্টস কর্মীকে খাগড়াছড়ি ও মানিকছড়ি হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।
অপর দিকে খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ জানান, আইসোলেশনে থাকা পাচঁজনসহ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা সকলেই নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিক। তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৩৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হলেও ২২ জনের নমুনা নেগেটিভ এসেছে। বাকী নমুনার রিপোর্ট এখনো আসেনি।