
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ করোনা উপসর্গ নিয়ে রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকায় মারা গেছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও কাপ্তাই উপজেলায় শিশু সহ আরো ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গতরাতে ৫৯ জনের নমুনা রিপোর্ট রাঙ্গামাটিতে এসে পৌছালে তার মধ্যে কাপ্তাই উপজেলার ৭ জনের নমুনা পজেটিভ এসেছে। এখনো পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৬৮ জন। রাঙ্গামাটি জেলায় মোট আইসোলেশনে আছে ১১ জন বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির করোনার ফোকাল পারসন ডাঃ মোস্তফা কামাল।
ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে রাঙ্গামাটি সদরের ৭ জন ও জুরাছড়ি উপজেলার ৬ জনে ১০ জন সহ মোট ২৩ জন সুস্থ বলে ঘোষণা দিয়েছে। তাবে তাদেরকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে চট্টগ্রামে পরীক্ষার জন্য মোট নমুনা প্রেরণ ১১০৩ এর মধ্যে নমুনা সংগ্রহ ৮৯৭ জনের। রিপোর্ট বাকী রয়েছে ২০৬ জনের। রাঙ্গামাটিতে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২৩জন।
এছাড়া রাঙ্গামাটি জেলায় এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েচে ২৮৯১ জনের। তার মধ্যে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ছিলো ৯৬৯ জন এবং হোক কোয়ারেন্টাইনে ছিলো ১৯২২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পত্র পেয়েছে ২৫৮২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩০৯ জন।
প্রকৌশলীর মৃত্যু নিয়ে বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেছেন, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম বিগত কয়েকদিন যাবৎ কাশি ও জ¦রে আক্রান্ত ছিলেন।
গত রোববার তার অবস্থার অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তারপর তাকে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতাল রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে রাঙ্গামাটি থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল এবং পরে তাকে ঢাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়া হলে সোমবার সকালের দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিলাইছড়ি উপজেলায় গত মার্চ মাসে তিনি উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন বলে জানা গেছে।