সারা দেশে জনসাধাণের চলাচল ও সীমিত পরিসিরে খুলে দেয়ার সাথে সাথে এনজওি গুলো ঋণ আদায় কার্যক্রম শুরু,বিপাকে ঋণ গ্রহিতরা

॥ শেখ ইমতিয়াজ কামাল ইমন ॥ দীর্ঘদিন বন্ধের পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ মে থেকে সারা দেশে জনসাধাণের চলাচল ও সকল কিছু সীমিত পরিসিরে খুলে দেয়ার সাথে সাথে এনজওি গুলো ঋণ আদায় কার্যক্রম শুরু করেছে। সদস্যদেও বাড়ী বাড়ী গিয়ে ঋণ আদায় কার্যক্রম চালু করায় বিপাকে পড়েছে ঋণ গ্রহিতরা। কিস্তির টাকা দিতে না পারায় সমিতির এনজিও কর্মীদের রোষানলের শিকার হতে হচ্ছে। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাধারণ ঋণ গ্রহিতরা।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও) ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে পারবেন না -সরকারের এমন নির্দেশনা আগেই এসেছিল। কিন্তু অফিস-আদালত সীমিত পরিসরে খুলে দেয়ার পর রাঙ্গামাটিতে এনজিওগুলোও ঋণ আদায়ের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এমন অবস্থায় রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বেসরকারি সংস্থাগুলোকে (এনজিও) কিস্তির টাকা জোড় পূর্বক না নেওয়ার আহবান জানান।
মঙ্গলবার (২ জুন) সকালে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন এলাকা থেকে জোর করে বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ, পদক্ষেপ এনজিও গুলো ঋণ আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে পদক্ষেপ এনজিওর ব্যাক ম্যানেজার সুশময় চাকমা জানান, আমরা কারো থেকে জোড় পূর্বক ঋণ এর টাকা আদায় করছিনা । কিন্তু আমাদের গ্রাহকরা বিগত দুই মাস ধরে আমাদের ঋণের টাকা স্বইচ্ছায় পরিশোধ না করলে আমাদের তাদেও থেকে জোড় পূর্বক ঋণের টাকা আদায় করতে হবে। এছাড়া আইডিএফ এর ব্যাক ম্যানেজার জানান আমাদের রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের আহবানের প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে ঋণের টাকা আদায় করছি না। কিন্তু আজ আমাদের মাঠ কর্মীদের আমরা সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছি তাদের খোজ খবরের জন্য। আর এই মহামারীর পর তারা তাদের সুবিধা অনুযায়ী ঋণের টাকা পরিশোধের আহবান জানান তারা।
গত ২৫ মার্চ মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ঋণ গ্রহীতাদের আর্থিক অক্ষমতার কারণে ক্ষুদ্র ঋণের কিস্তি অপরিশোধিত থাকলেও তাদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রাপ্য কোনো কিস্তি বা ঋণকে বকেয়া বা খেলাপি দেখানো যাবে না। অর্থাৎ এই সঙ্কটময় সময়ে ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ঋণগ্রহীতাদেও কিস্তি পরিশোধে বাধ্য করা যাবে না। তবে কোনো গ্রাহক স্বেচ্ছায় ঋণের কিস্তি পরিশোধে ইচ্ছুক হলে সেক্ষেত্রে কিস্তি গ্রহণে কোনো বাধা থাকবে না। একই সঙ্গে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নতুন করে কাউকে ঋণ দিতে চায় সেটা দিতে পারবে।
গ্রামীন ব্যাংক রাঙ্গামাটি জেলা শাখার পক্ষে থেকে জানানো হয়, গ্রামীন ব্যাংক কেন্দ্র থেকে পত্র এসেছে আগামী রবিবার থেকে প্রতিটি শাখায় গিয়ে সমিতির সদস্যদের সাথে আলোচনা করার জন্য। যদি কোন সদস্য কিস্তির টাকা দিতে চায় তাহলে টাকা দিতে পারবে। এছাড়া তারা যদি টাকা দেয়া শুরু করে ৩ কিস্তি পর তারা নতুন ঋণ নিতে পারবো। আর দিতে না চাইলে টাকা নেয়া হবে না।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930