ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই প্রতিনিধি : রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে এ পর্যন্ত উপজেলার করোনা সন্দেহে মোট ৮৪ টি সেম্পল কালেকশন করা হয়েছে যার মধ্য করোনা পজিটিভ এসেছে ১০ টি এবং মঙ্গলবার(২জুন) ১৬ জনের সেম্পল কালেকশন করে পাঠানো হয়েছে। কাপ্তাই উপজেলার ৩ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) পূর্বে করোনা সন্দেহভাজন ব্যক্তির সেম্পল কালেকশন করতে গেলেও বর্তমানে আর সেই সুযোগ থাকবেনা। কারণ সর্বশেষ তথ্য মতে একজন মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্ট করোনা সেম্পল কালেকশন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ল্যাব টেকনোলজিস্ট সংকটে পড়েছে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, কোনো মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলো কি না তা নিশ্চিত হতে তার নাক এবং গলার ভেতর থেকে নিঃস্বরণ নিয়ে তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হয়। যাকে বলা হয় সেম্পল বা নমুনা। এই নমুনা সংগ্রহ ওই ব্যক্তি থেকেই করা হয় যার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। আর সেই সব সেম্পল কালেকশনে প্রতিনিয়ত প্রাণের ভয়কে সঙ্গী করে সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নিজের কর্মক্ষেত্রকে সম্মান রেখে প্রতিনিয়ত কাপ্তাইের দুর্গম এলাকাতে গিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সেম্পল কালেকশন করছেন কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্টরা। কিন্তু বর্তমানে ল্যাব টেকনোলজিস্ট সংকটে কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগ। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ল্যাব) অমর দাশ জানান, এখন আমাদের বন্ধের দিন বলতে কিছু নেই, করোনাকালীন সময়ে আমরা সবসময় নমুনা সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছি। তবে আরোও লোকবল থাকলে আমাদের উপর বাড়তি চাপ পড়তো না। এদিকে এই বিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মাসুদ আহমেদ চৌধুরী জানান, করোনা রোগির নমুনা কিংবা সন্দেহজনক রোগির নমুনা কালেকশান করতো তাদের হাসপাতাল এর এই তিন জন ল্যাব টেকনিশিয়ান। কিন্তু বর্তমানে একজন ল্যাব টেকনোলজিস্ট করোনা আক্রান্ত হওয়ায় যার ফলে এখন আর করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে গিয়ে সেম্পল কালেকশন করা সম্ভব নয় এখন হাসপাতালে এসেই সেম্পল জমা দিতে হবে। এবং তিনি আরো জানান, যে এই করোনা রোগীর বাড়ার পাশাপাশি করোনা সন্দেহে সেম্পল কালেকশন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে যার ফলে জনবল সংকটে হিমশিম খাচ্ছে কাপ্তাই স্বাস্থ্যবিভাগ। তাই তিনি এই মুহুর্তে প্রয়োজনে অস্থায়ী নিয়োগের ভিত্তিতে মেডিকেল ল্যাব টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করা হলে বেশী বেশী সেম্পল কালেকশন করা যেত এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদের দ্রুত শনাক্ত করা যেত।