তিন পার্বত্য জেলায় রেল সংযোগের নির্দেশ :: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়াকে কৃতজ্ঞতা

॥ আলহাজ¦ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ তিন পার্বত্য জেলায় রেল সংযোগের নির্দেশ দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। কেননা তিন পার্বত্য জেলায় এখনও যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলছে একটা উন্নয়ন করতে অনেক সময় এবং ব্যয়বহুল তাই কম খরচে দ্রুত যোগাযোগের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা নেয়ার জন্য রেল মন্ত্রনালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তিন পার্বত্য জেলার সকল জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়াকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ না জানিয়ে উপায় নাই। এই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে তিন পার্বত্য জেলার মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম যেমন সৃষ্টি হবে তেমনি বাস যোগাযোগের জন্য পার্বত্য রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বাস মালিকদের একক ছত্র আধিপত্য ও এক গুয়েমীর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে সাথে পার্বত্য এলাকার জনগন আরাম দায়ক রেল ভ্রমন করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি তিন পার্বত্য জেলার সড়ক উন্নয়নের সাথে সাথে রেল পথ উন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বপ্রথশ ও তৎকালীন একমাত্র সংবাদপত্র সাপ্তাহিক বনভূমি এবং পরে দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকায় ছদ্মনামে নীলকন্ঠ বকলম এবং পরে স্বনামে অনেক কলাম দীর্ঘ ত্রিশ বছরের বেশী সময় ধরে লিখে আসছি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগনের যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য রেল যোগাযোগের পরিকল্পনা নেয়ায় জনগনের পক্ষ থেকে আবারো কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত লিখে সরকারের এবং কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে লিখে আসছিলাম যে, তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগের জন্য নি¤œ লিখিত রুট গুলো নিয়ে যাছাই বাছাই করলে অনেক উপকারে আসবে। প্রথমতঃ হাটহাজারী থেকে রাউজান হয়ে রানীরহাট, ঘাগড়া, মানিকছড়ি হয়ে রাঙ্গামাটি পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণ করা।
দ্বিতীয়তঃ চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে রাঙ্গুনিয়া, চন্দ্রঘোনা, কাপ্তাই পর্যন্ত আরেকটি রুট দেয়া যায়। তৃতীয়তঃ চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেল ষ্টেশন সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কেরানীহাট থেকে বান্দরবান জেলা সদরের রেল যোগাযোগ করা দরকার। চতুর্থতঃ রামু থেকে নাইক্ষংছড়ি হয়ে ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত সংযোগ করা যায়। পঞ্চমতঃ নাজিরহাট রেল ষ্টেশন থেকে মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা হয়ে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা হয়ে বাঘাইছড়ি পর্যন্ত সংযোগ দেয়া যেতে পারে। ষষ্ঠতঃ ধুমঘাট রেলষ্টশন থেকে করেরহাট, হেঁয়াকো, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা পর্যন্ত, সম্প্রসারণ করা গেলে তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগের উন্নয়ন করা গেলে জনগনের অনেক উপকারে আসবে।
এছাড়া ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে পার্বত্য জেলা গুলোতে উৎপাদিত মৌসুমী পণ্য গুলোর বিশেষ করে পচনশীল পণ্য গুলো দ্রুত আনা নেয়া এবং কম খরচে পরিবহন সম্ভব হবে। সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
কাজেই তিন পার্বত্য জেলায় রেল যোগাযোগের উন্নয়ন কাজ করতে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতামত নিয়ে করা গেলে অধিকতর গ্রহণযোগ্য হবে বলে আমার ধারনা।
দীর্ঘ ৩/৪ যুগের ও বেশী সময় যাবত অথ্যাৎ ৫০ (পঞ্চাশ) বছর সাংবাদিকতা করতে গিয়ে তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাথে জড়িত থেকেই সাংবাদিকতা করেছি।
তারই আলোকেই আমার প্রস্তাবলী তুলে ধরেছি। বিভিন্ন স্তরে মতামত পরামর্শ নিয়ে কাজ করা গেলে কাজে লাগবে আশা করি দীর্ঘদিন যাবত লেখালেখির ফল এটাই।

রাঙ্গামাটিতে আর্ন্তজাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ প্রতিবন্ধীদের কল্যানে কাজ করে যাবে —–কৃষিবিদ কাজল তালুকদার পরিবার ও সমাজ থেকে প্রতিবন্ধীদের কথা চিন্তা করতে হবে —-এ কে এম মকছুদ আহমেদ প্রতিবন্ধীদের দিয়ে ক্ষুদ্র শিল্প কারখানা গড়ে তুলুন —-সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় জেলা পরিষদ সহায়তা দেবে —–সাগরিকা রোয়াজা

দৈনিক ভোরের চেতনা ২৬ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা প্রকৃতির সৌন্দর্য্য দেখতে চাইলে অবশ্যই রাঙ্গামাটিতে আসতে হবে —–মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান আমার সাংবাদিকতার জীবনে হলুদ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে আসছি —–এ কে এম মকছুদ আহমেদ

Archive Calendar
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031