রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনীত

॥ নন্দন দেবনাথ ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের গণমানুষের অবিসংবাদিত নেতা পাহাড়ী বাঙ্গালী সকল সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির নেতা রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের এক প্রজ্ঞাপনে পাহাড়ের এই নেতাকে খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয়। তাকে মনোনীত করায় রাঙ্গামাটি আওয়ামীলীগ সহ পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ ও সকল স্তরের নেতা কর্মীরা গতকাল অভিনন্দন জানিয়েছেন। পাহাড়ের এই অবিসংবাদিত নেতা ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দীপংকর তালুকদার জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মনোনীত করা হয়। ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা মোঃ নাসিমকে সভাপতি করে ১০ সদস্যের খাদ্য মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা মোঃ নাসিমের মুত্যুর পর পাহাড়ের অবিসংবাদিত ও বর্ষীয়ান নেতা দীপংকর তালুকদার এমপিকে সভাপতি করে মোঃ নাসিমের স্থলাভিষিক্ত করা হলো।
পাহাড়ের এই নেতা দীপংকর তালুকদার এমপি ১৯৫২ সালের ১২ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে ¯œাতক (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্র সংসদের সদস্য ও ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭২-৭৩ সালে ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিলো। উনসত্তর ও সাতাশির গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি দুই বার কারা বরণ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ও ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩-৭৪ সালে তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগীয় সমিতির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৮ সালে মোট ৪ বার রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনীত হয়। তিনি ১৯৯৮ কালে প্রতিমন্ত্রী পদ মর্যাদায় পার্বত্য চট্টগ্রাম শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে নির্বাচনের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি সম্পাদনে তার অবদান অনেক বেশী ছিলো। তার নির্বাচনী ইশতেহারে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুতিও ছিলো। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে রাঙ্গামাটি আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০০৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলের সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন এই নেতা। বর্তমানে ও তিনি পাহাড়ের মানুষের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও ১৯৯১ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ শিক্ষা কমিটি, সংস্থাপন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় সংসদ হাউস কমিটির সদস্য ছিলেন।
বর্তমানে তিনি রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদে বহাল রয়েছেন। তার এই জীবনে তিনি ছদ্ধনামে পার্বত্য চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখী করেছেন।

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই বিপ্লবের স্মরণে র‌্যালি ও দোয়া জুলাই এর গণঅভূত্থানে ছাত্র জনতার রক্তদান এবং অসংখ্যজনের পঙ্গুত্ব বরণের মধ্যদিয়ে আমরা নতুন দেশ পেলাম —–প্রফেসর ড. মোঃ আতিয়ার রহমান

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031