ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই: কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা :: রেশম বাগান পুলিশ চেকপোস্ট সংলগ্ন হোসনাবাদ ৯নং ওয়ার্ডে ব্যক্তিগত রেশন হতে হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন কাপ্তাই সার্কেলের পুলিশ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আলমগীর।
ইন্সপেক্টর আলমগীর রেশমবাগান চেকপোষ্টে করোনা মহামারীতে ডিউটি কালীন সময়ে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা এ্যানিমং মারমা হতে জানতে পারেন এখানে পঁয়ত্রিশটি হতদরিদ্র পরিবার রয়েছে যারা রাংগুনিয়া থানার অন্তর্গত হোসনাবাদ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রেশম বাগান এলাকার বাসিন্দা। তারা উপজাতি সম্প্রদায়ের লোক হলেও ভৌগোলিক কারণে তারা পার্বত্য অঞ্চলের নানাবিধ সাহায্য সহযোগিতা হতে বঞ্চিত। অন্যদিকে সমতলে অবস্থান হলেও তাহারা কাপ্তাই উপজেলার পার্শ্ববর্তী হওয়ায় অনেকে তাহাদেরকে কাপ্তাই উপজেলার বাসিন্দা মনে করে সমতলের সরকারি ত্রান-সাহায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত করছেন। বিষয়টি ইন্সপেক্টর মহোদয় জানতে পেরে রাংগুনিয়ার বিভিন্ন সুশীল সমাজের ও জনপ্রতিনিধিদের অবহিত করেন।
পরবর্তীতে তিনি স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় এবং কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা এ্যানিমং মার্মাকে সাথে নিয়ো বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫ টার সময় ব্যক্তিগত পারিবারিক রেশন হতে উক্ত এলাকায় হত-দরিদ্রের পরিবারের মাঝে ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
উক্ত খাদ্য সামগ্রী বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিব্যাংক কর্মকর্তা এ্যানিমং মার্মা, কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন চন্দ্রঘোনা শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম, নিশ্চিন্তাপুর গাউসিয়া কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আজিজুল হক।
কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা এ্যানিমং মার্মা জানান যে ইতিপূর্বে এপ্রিল মাস হতে করোনা মহামারী লক ডাউন পরিস্থিতিতে অত্র এলাকায় পুলিশ ইন্সপেক্টর মোঃ আলমগীর মহোদয় প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তার আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যবহিত রেখেছেন। তিনি রাংগুনিয়া উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের প্রতি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে সাহায্যে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করার জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।