“তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষায় মনোযোগি করার ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আমরা আরো একধাপ এগিয়ে গেলাম। আমরা আশা করি, এ উদ্যোগ শিশুদের শিক্ষামুখী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।” গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো’র সহযোগিতায় এবং ব্র্যাকের উদ্যোগে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জেএসইউএস পরিচালিত সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের ডিজিটাল ক্লাস ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের সময় উপরোক্ত মন্তব্য করেন জেএসইউএস ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ও পরিচালক কবি, প্রাবন্ধিক সাঈদুল আরেফীন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে তাই তাদের শিখনের অবস্থা বুঝে পরবর্তী করণীয় ঠিক করার সিন্ধান্ত গ্রহন করা হয়, সেই লক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদানের মাধ্যমে এই মোবাইল ডিজিটাল ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। জেএসইউএস পরিচালিত সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির শিশুরা ঘরে বসে (ঘর থেকে পড়বো)- হোম স্কুলিং শিক্ষা কার্যক্রম এর মাধ্যমে শিক্ষাসেবা পাচ্ছে। এটি একটি বিকল্প পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থাপনা এই ব্যবস্থায় শিক্ষক মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পাঠ্যসূচী অনুযায়ী দলভিত্তিক শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। বর্তমানে ৪টি বিদ্যালয়ে মোট ২৪জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ শিক্ষাবর্তা গ্রহণ করছে। পর্যায়ক্রমে সকল বিদ্যালয়ে এ শিক্ষাবার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রকল্পের ফিল্ড কোঅর্ডিনেটর মুনজিলুর রহমান বলেন, “ঘরে থেকে শিক্ষাগ্রহণের এ ব্যবস্থাপনার সাথে একজন শিক্ষক মোবাইল কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনজন শিক্ষার্থীর সাথে যুক্ত থাকবেন। নিয়মিত মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তা যাচাই করা হচ্ছে।” বর্তমানে জেএসইউএস চট্টগ্রাম জেলার আরবান এলাকায় পরিচালিত সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচির আওতায় ৯৫টি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা করছে এতে ২৮৫২ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছে।