॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সরকারি ত্রাণের মুখাপেক্ষী না থেকে নিজস্ব খালী জায়গায় সবজি, ফলজ ও বনজ চারা রোপণ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, বনায়ন করলে পাহাড় যেমন আবার আগের জীবন ফিরে পাবে তেমনি প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা পাবে। শুকনা মৌসুমে পানির অভাব থাকবেনা। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে রাঙ্গামাটির ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি এর প্রকল্পসমূহের তহবিল ও ইউএনডিপির নিজস্ব তহবিল হতে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে করোনা ভাইরাস জনিত মহামারীর কারণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের মধ্যে সলিডারিটি প্যাক/ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ওয়াগ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব তঞ্চঙ্গ্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফ আহমেদ রাসেল এবং এসআইডি-সিএইচটি-ইউএনডিপি-র ন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রসেনজিৎ চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ইউএনডিপির এ ত্রাণ বিদেশী দাতা গোষ্ঠির হলেও বাংলাদেশ সরকারের সাথে চুক্তি করে কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য পার্বত্য তিন জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জেলা পরিষদের তত্বাবধানে বিতরণ করার দায়িত্ব দেয়। তিনি উপস্থিত সকলকে জুম চাষে, জমিতে কাজ করার সময়, হাট বাজারে গেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে ৪৮৭ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন স্থানে সলিডারিটি প্যাক বিতরণ কার্যক্রম ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২৫ আগষ্ট ২০২০ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং সর্বমোট ২৯হাজার) দুস্থ ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারের মাঝে এই সলিডারিটি প্যাক/ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
প্রতিটি সলিডারিটি প্যাকের মধ্যে রয়েছে -চাল ১৫ কেজি, ডাল ২ কেজি, লবণ ১কেজি, সয়াবিন তেল ১ লিটার, পিয়াজ ১ কেজি, আলু ৫ কেজি, সাবান ২টি, সবজি বীজ ৭ প্যাকেট, মাস্ক ৪ পিস ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২টি করে পোস্টার।