॥ কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই ॥ গত কয়েকদিন ধরে কাপ্তাই ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য এলাকায় থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে ২২ জুলাই পানি থাকার কথা ৮৭.৩৬ ফুট মীন সী লেভেল (এম এস এল)। তবে বর্তমানে লেকে পানি রয়েছে ৮৯.১৭ ফুট এম এস এল। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সুত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সুত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি জেনারেটরের মধ্যে বর্তমানে সচল রয়েছে ৪টি। ১, ৩, ৪ ও ৫ জেনারেটর বর্তমানে উৎপাদনে রয়েছে। এই ৪টি জেনারেটরের মধ্যে ১ নম্বর জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৪১ মেগাওয়াট, ৩ নম্বর জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৪০ মেগাওয়াট, ৪নম্বর জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৩৬ মেগাওয়াট এবং ৫নম্বর জেনারেটর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হচ্ছে। ২ নম্বর জেনারেটরের স্থলে নতুন জেনারেটর বসানোর প্রচেষ্টা চলছে। যে কারণে ২ নম্বর জেনারেটরটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, কাপ্তাইয়ে অবস্থিত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের একমাত্র জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে মাত্র ২৫ পয়সা। দেশের অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ে সর্বনিম্ন ৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত। কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতি বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ৪ থেকে ৫ শ কোটি টাকা মুনাফা করে আসছে। দেশের বিদ্যুৎ খাতে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনন্য ভূমিকার জন্য জ্বালানী মন্ত্রনালয় সব সময় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রতি সুদৃষ্টি রাখে বলে জানা গেছে।