করোনাভাইরাস: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অর্ধশত মৃত্যু

একদিনে আরও ১ হাজার ৯১৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪৪ হাজার ২০ জন হয়েছে।

আইইডিসিআরের ‘অনুমিত’ হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯৫৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ১ লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জনে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মঙ্গলবারের বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এই তথ্য জানান।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা দুই লাখ পেরিয়ে যায় ১৮ জুলাই। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২৮ জুলাই সেই সংখ্যা তিন হাজার স্পর্শ করে। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয় বুলেটিনে, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৩টি ল্যাবে ৭ হাজার ৭১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২ লাখ ১ হাজার ২৫৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ, আর এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার তা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এর আগে গত শনিবার কোরবানির ঈদের দিন করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত আড়াই মাসে প্রথমবারের মত হাজারের নিচে নেমে আসে।

রোববার থেকে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে কিছুটা বাড়ায় এক দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও আবার বেড়ে দুই হাজারের কাছাকাছি চলে গেছে।

নাসিমা সুলতানা জানান, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪৪ জন পুরুষ এবং ৫ জন নারী। ৪৫ জন হাসপাতালে এবং ৫ জন বাড়িতে মারা গেছেন।

তাদের মধ্যে ২৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৫ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন সিলেট বিভাগের এবং ৪ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

এই ৩০ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৮ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।

দেশে এ পর্যন্ত যে ৩ হাজার ২৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬০ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।

এছাড়া ২৮ দশমিক ৭৬ শতাংশের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১৩ দশমিক ৮৫ শতাংশের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর বছরের মধ্যে, ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২ দশমিক ৬৯ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।

তাদের ৪৭ দশমিক ৯০ শতাংশ ঢাকা বিভাগের, ২৩ দশমিক ৯৬ শতাংশ চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬ দশমিক ১২ শতাংশ রাজশাহী বিভাগের, ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ খুলনা বিভাগের, ২ দশমিক ১৬ শতাংশ ময়মনসিংহ বিভাগের, ৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ রংপুর বিভাগের, ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ সিলেটে বিভাগের, ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বরিশাল বিভাগের।

Archive Calendar
MonTueWedThuFriSatSun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30