অবশেষে সেনাবাহিনীর সহায়তায় চিকিৎসা সুবিধা পেল বান্দরবান সদর হাসপাতালের পায়ে পচন ধরা সেই মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী নারী। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর এ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসকসহ ঐ নারীকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ভর্তী করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে তাকে। চিকিৎসার পুরো খরচই বহন করছে সেনাবাহিনী। গত ৩ মার্চ পায়ে আঘাত পেয়ে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তী করা হয় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধী ঐ নারীকে। চিকিৎসা অবহেলায় পায়ে পচন ধরে ঐ নারীর। পাটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। দুর্গদ্ধ উঠায় তাকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছিল। হাসপাতালের চিকিৎসকরা বিষয়টি বিভিন্ন মহলকে জানালেও কেউ সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। প্রায় এক মাস হাসপাতালে দুর্বিসহ কষ্ঠ ভোগ করছিল প্রতিবন্ধী ঐ নারী। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মানবিক প্রতিবেদন ছাপা হলে বিষয়টি নজরে আসে বান্দরবানের সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীনের।গতকাল সকালে সেনাবাহিনীর এ্যাম্বুলেন্সে করে ঐ নারীকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেনা রিজিয়নের কর্মকর্তা মেজর মেহেদী জানান, রিজিয়ন কমান্ডারের নজরে আসার সাথে সাথে সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে একজন চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে ঐ নারীকে চমেকে ভর্তী করানো হয়েছে। তার চিকিৎসার সম্পূর্ন খরচ সেনা রিজিয়ন থেকে বহন করা হবে। সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ প্রশসংসা পেয়েছে বিভিন্ন মহলে।