॥ নন্দন দেবনাথ ॥
বিআরটিএতে কিছু টাকা দিলেই লক্কর ঝক্কর মার্কা গাড়ী গুলোকেও ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়ে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও লাইন পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ফিটনেস সার্টিফিকেট আনতে এখন আর গাড়ী গুলোকে বিআরটিতে নিতে হয় না। ইন্সেপেক্টর দেরকে কিছু টাকা দিলেই তারা সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়। গত ২১ আগষ্ট গাড়ীর ফিটনেস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদেও এই কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাঙ্গামাটিতে যে গাড়ী গুলো চলছে সব গাড়ী গুলোর ফিটনেস সার্টিফিকে সহ সকল কাগজ পত্র অবৈধ রয়েছে। তার পর অনেক গাড়ী হয়তো কিছু দিন কাজ না করাতেই এই অবস্থা হয়েছে। নতুন করে কাজ করলেই গাড়ী গুলো ঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ভাই আর বর্তমানে গাড়ী গুলোকে বিআরটিএতে নিয়ে যেতে হয় না। তারা না দেখেই ফিটনেস সহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরী করে দেয়। তার জন্য কিছু টাকা বাড়তি দিলেই হয়।
দীর্ঘ বছর ধরে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের রাস্তায় লক্কর ঝক্কর মার্কা গাড়ী গুলো দিয়েই যাত্রী সেবা দিয়ে আসছে। নতুন বতলে যেমন পুরনো মদ দিয়ে ব্যবসা করা হয়। তেমনি চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি বাস মালিক সমিতির কর্তারা লক্কর ঝক্কর মার্কা গাড়ী গুলোকে অল্প টাকা দিয়ে ক্রয় করে এনে রং করে রাঙ্গামাটির যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এই কথায় তারা নিজেরই স্বীকার করে গেছেন। তারা নিজেরাই বলছে দুরপাল্লার বাস গুলো তারা চালু অবস্থায় ক্রয় করে এনে অল্প রাস্তা বলে রাঙ্গামাটি- চট্টগ্রাম সড়কে চলাচল করে। তারা দিন দিন উন্নত হচ্ছে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি বাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ সৈয়দ ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বাস গুলো বাতিল করে নতুন গাড়ী নামিয়েছি। তাদেরকে এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, একটি নতুন গাড়ী নামাতে ৭০ লক্ষ টাকা লাগে। গাড়ী গুলো ২৪ দিন চলানোর পর ২ মাস বসিয়ে রাখতে হয়। এই ভাবে একটি নতুন গাড়ী নামাতে গিয়ে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই বড় বড় কোম্পানীর দুর পাল্লার গাড়ী গুলো ক্রয় করে যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে সব গাড়ী গুলোর ফিটনেস রয়েছে।
এদিকে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে দ্রুত যান নামে যে গাড়ী গুলো রয়েছে সেই গাড়ী গুলোর একটিরও ফিটনেস নেই। এছাড়া সমিতির কর্তাদের দাবী অনুযায়ী যে গাড়ী গুলো ফিটনে রয়েছে বলে দাবী করেছেন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বেশীরভাগ গাড়ীরও ফিটনেস নেই বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিআরটিএ উপ-পরিচালক মোঃ শহীদউল্লা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মালিক সমিতির লোকজন তো অন্য জনের উপর দোষ চাপিয়েই শেষ। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতেই অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমানে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেয়ার জন্য সারা দেশেই খোলা রয়েছে। মালিকরা যেখান থেকে ইচ্ছা সেখান থেকেই ফিটনেস সার্টিফিকেট নিতে পারে।
তবে আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে আমাকে বলেছেন আমি সেই বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবো। আমি মনে করি আমাদের বিআরটিএ কোন দুর্নীতি নেই। আমরা সকলেই সহজ ভাবেই সঠিক নিয়মে সকল কাজ কর্মকরি। তারা নিজেদের দোষ ঢাকতেই আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।
