বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার উদ্যোগে ২৮ আগস্ট শুক্রবার বাদ আসর ৪৫ তম জাতীয় শোক দিবস ও ২০০৪ এর একুশে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভ্যিনিউতে ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত হত্যাকান্ডে বেগম আইভি রহমানসহ নিহত শহীদদের স্মরনে শোক সভা ও দোয়া মাহফিল চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন মহামান্য রাস্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্হাপনা বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর এ কে এম তফজল হক। প্রধান বক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা পিনাকী দাশ। বিশেষ বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধা যুবকমান্ড কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এহছানুল আজিম লিটন। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আহ্বায়ক মার্শেল কবির পান্নুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সদস্য সচিব মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁনের পরিচালনায় পবিত্র কোরান থেকে তিলোয়াত করেন মোঃ কামাল হোসেন। জাতির জনক ও তাঁর পরিবার, জাতীয় চারনেতা, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও সকল গণতান্ত্রিক ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের স্মরনে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে বাদ আসর শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলের সূচনা হয়। শুরুতেই ভিডিও কনফারেন্সে স্বাগত বক্তৃতা করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এডভোকেট মশিউর মালেক। আলোচনায় অংশ নেয় যথাক্রমেঃ এস এম ইউসুফ, আ.জ.ম সামছুল করিম লাভলু, শুক্কুর চৌধুরী, হাসান মানিক, নুরুল আবছার, আবুল মনসুর, সাইফুল, জামাল উদ্দীন, ভিপি জসীম উদ্দীন, মোশারফ হোসেন শিমু, মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম, শামিমা আক্তার লাভলী, শেখ ফরমান উল্যাহ চৌধুরী, নাসির উদ্দীন, রেজাউল করিম, জাহাঙ্গীর আলম, এস এম করিম ভাসানী, স্বপন কুমার নাথ, আলেয়া বেগম, কামরুন্নাহার নীলু, গুল নাহার বেগম, আবুল কাশেম বিএসসি,সাফায়েত আহমেদ, মোঃ ওমর ফারুখ(ব্যাংকার), অধ্যাপক জাফর আহমেদ, আজিজুল হক বিপ্লব, সৌরভ চৌধুরী, রবিউল ইসলাম চৌধুরী, শেখ সাইফুদ্দীন খালেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোহাম্মদ হোসেন, আব্দুল গনি, নোয়ামিয়া কন্ট্রাক্টর, নূর মোহাম্মদ ও মোঃ হাশেম সওদাগর প্রমুখ নেতৃবৃন্দগণ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রফসর এ কে তফজল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু মরেননি। গোপালগন্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে বাংলাদেশকে এখনো তিনি অলৌকিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, জীবিত মুজিবের চেয়ে মৃত মুজিব যে আরো বেশী শক্তিশালী তা তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভাবনীয় অকল্পনীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে সুস্ফস্টভাবে প্রতীয়মাণ হয়েছে। তিনি উপস্হিতিদের উদ্দেশ্যে বলেন যতদ্রুত সম্ভব সবাই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারে রোজনামচা বইগুলো পড়বার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি ড.এডভোকেট মশিউর মালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। তিনি বলেন,বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রত্যেককে সোনার মানুষ হতে হবে। সকলকে দূর্নীতিমুক্ত দখলদারমুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত চরিত্র গড়ে তুলতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের জন্য কল্যাণকর হবে। অনুষ্ঠান শেষে উপস্হিতিদের মাঝে তবরুক বিতরন করা হয়। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার, একুশে আগস্ট নিহত শহীদদের জান্নাতলাভের ও রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মার্শেল কবির পান্নু। কবিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে সুস্হ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও এখনো পর্যন্ত শারিরীকভাবে দূর্বল থাকায় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা,এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতার জন্য তাদের সম্পূর্ন সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন মার্শেল কবির পান্নু। মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের শোক সভা ও দোয়া মাহফিল সম্পন্ন করবার ক্ষেত্রে সহযোগীতা করবার জন্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক জননেতা,শেখ আতাউর রহমানের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রতিশ্র“তি ব্যক্ত করে বলেন যখনই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ ডাক দিবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সকল নেতাকর্মী জীবন বাজী রেখে সর্বত্রই ঝাঁপিয়ে পড়বে।