॥ কাপ্তাই প্রতিনিধি ॥ রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ (কেপিএম)র’ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড.এম এম এ কাদের কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক, ১নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী এবং কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) এর বিরুদ্ধে গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেসরকারী টেলিভিশন যমুনা টিভিতে মিথ্যা বক্তব্য ও সাক্ষাতকার দেওয়ার প্রতিবাদে কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) এর উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা সোমবার (২৮সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চন্দ্রঘোনা কেপিএম সিবিএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সিবিএ এর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কেপিএম এমডি গত ২৫ সেপ্টেম্বর বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভির ৩৬০ ডিগ্রী ২৬১ এপিসোডের প্রতিনিধিদের কাপ্তাই উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, সিবিএ নেতা এবং কারখানা সম্পর্কে মিথ্যা বক্তব্য ও ভুল তথ্য প্রদান করেন, যা সম্পূর্ণ অসত্য। তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মনগড়া। তার বক্তব্যে সরকারের ভাবমুর্তি এবং সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। তার এই বক্তব্যে কাপ্তাই সর্বস্বরের জনগন এবং শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে আগত বক্তারা আরোও বলেন, দুর্নীতিবাজ এমডি যোগদানের পর হতে রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানকে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। তিনি কোটি কোটি টাকার লোকসান দেখিয়ে এ মিলকে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করছে এবং কেপিএম মিলের উন্নয়ন নামে কোটি কোটি টাকার আত্মসাত করেছে। তিনি বেসরকারি কাগজ উৎপাদনকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এই মিলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে, কেপিএম এর পাল্প উৎপাদন তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন।
বক্তারা আরোও বলেন, কেপিএম এর এই এমডি বিশাল বাংলোতে থেকে মাত্র ৩৭০০ টাকা বাসা ভাড়া দেন, অথচ শ্রমিক কর্মচারীরা নিন্ম মানের বাসায় বসবাস করে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা বাসা ভাড়া প্রদান করে। তিনি শ্রমিকদের মাসিক বেতন হতে কর্তনকৃত পিএফ এর টাকা সংশ্লিষ্ট ফান্ডে জমা করেন না এবং তিনি বিধিমতো পিএফ ঋণ বিতরণ না করে নিজের ক্ষমতাবলে দূর্নীতির বিনিময়ে টোকেনের মাধ্যমে পিএফ ঋণ প্রদান করেন। এইছাড়া এমডি কাদের নিজের ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে বিনা ভাড়ায় কেপিএম এর বাসা বাড়িতে বহিরাগতদের থাকতে দিয়ে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি করছেন।
এমডি ড এম.এম.এ কাদের মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার বা ক্ষমা প্রার্থনা না করলে কেপিএম মিল ঘেরাওসহ শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর কর্মসুচী প্রদান করা হবে বলে তারা প্রতিবাদ সমাবেশে উল্লেখ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী বেবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবুল বশর, সাবেক, ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক হানিফ বাবুল, সাবেক সদস্য আকতার হোসেন মিলন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ছিদ্দিকী, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মানিক, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি এম নুর উদ্দিন সুমন। এসময় কেপিএম এর স্হায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক, উপজেলা আ’লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এবং সর্বস্বরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।