॥ লামা সংবাদদাতা ॥ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ও দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বান্দরবানের লামা পৌরসভা নির্বাচন ২০২১। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সবগুলো কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিতে দেখা যায় ভোটারদের। প্রতিটি কেন্দ্রে পুরুষের চেয়েও নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতি দেখা যায়।
এদিকে কয়েকটি কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগ এনে বিএনপি প্রার্থী মোঃ শাহীন বিকাল সাড়ে ৩টায় লামা উপজেলা পরিষদ চত্বরের সামনের রাস্তায় দাঁড়িয়ে নির্বাচন বয়কট করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
৯টি কেন্দ্রে ঘুরে জানা যায়, পৌরসভার ২নং ভোট কেন্দ্র লামা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় বিধি লঙ্গন করায় ৪নং ওয়ার্ডের করিম মোস্তফার ছেলে মোঃ রহিম (২৭) কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ২নং ওয়ার্ডের মৃত মোজাহের হোসেনের ছেলে মোজাফ্ফর আহমদকে সাময়িক আটকের নির্দেশ দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিধি লঙ্গনের কারণে দুপুর সাড়ে ১২টায় সাময়িক সময়ের জন্য আটক করা হয় চন্দন দাশ ও অভি দাশকে। দুপুর ১টায় ৯নং ভোট কেন্দ্র শিলেরতুয়া মার্মা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে আটক হয় রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ আলমগীর (৪০)। বিকাল ৩টায় ৮নং ভোট কেন্দ্রে একাধিক ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় আমির হোসেন নামে এক যুবক। পরে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাকে সাময়িক আটক রাখার নির্দেশ দেয়।
নির্বাচন কমিশন লামা পৌরসভা নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল। বিজিবি, র্যাব এর পাশাপাশি পুলিশ আনসার, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা নির্বাচনের এলাকায় দায়িত্ব পালন করে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ‘কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সকল কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। কোন প্রার্থী এখনো অভিযোগ করেনি।
উল্লেখ্য, লামা পৌর এলাকার মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৮৯ জন। তার মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৩ জন এবং মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৩৮৬ জন। এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৩ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ৯টি ভোটকেন্দ্রের ৩৯টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসকল ভোটকেন্দ্রে ৯ জন প্রিজাইডিং, ৩৯ জন সহকারী প্রিজাইডিং এবং ৭৮ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছেন।