চট্টগ্রাম ব্যুরো :: বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার, মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সরকার, শান্তির সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমনটি স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার আজ তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যে প্রদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন তার ধারাবাহিকতায় আজ দেশ স্বনির্ভর হয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন শনিবার ৬ ফেব্রুয়ারী পটিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনেপটিয়া-দোহাজারি লাইনে ডেমো ট্রেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা গুলো বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম হতে পটিয়া দোহাজারি রেল লাইনে স্বাধীনতার পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে লোকাল ট্রেন চলাচল করলেও এবার কোন সরকারের প্রথম আধুনিক ও যুগোপযোগী কোন ট্রেনের সংযোজন হয়েছে। অবশেষে পটিয়া-দোহাজারি রেলপথের নব দিগন্তের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে ।পটিয়া -দোহাজারি রেল লাইনে চালু করা হলো দ্রুতগতির অত্যাধুনিক ডেমো (ডিজেল ইলেকট্রিক মালটিপল ইউনিট) ট্রেন।
.
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জি এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ মোসলেম উদ্দিন এমপি, চন্দনাইশের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম এমপি, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী, পটিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইনামুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম মজুমদার, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাহাদাত হোসেন, সা: সম্পাদক কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আরও বলেন, চীন থেকে আনা নতুন এ ডেমো ট্রেন চট্টগ্রাম-পটিয়া-দোহাজারি সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের চলাচলের পথ সুগম করবে। আপাতত একটা ডেমো ট্রেন সংযোজন করেছি এ রুটে আমি আগামী মাসে আবার আসব দক্ষিণ চট্টগ্রামে নতুন রেল স্টেশন উদ্বোধন করতে তখন হিসাব কষে আরও একটি ট্রেন দিব এ অঞ্চলের যাত্রীদের জন্য।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নে ৩৮টি প্রকল্পে ১৮ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা হবে। যা অতিতের কোনো সরকার গ্রহণ করেনি।বিএনপি -জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধীরা হরতালের নামে ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি পুড়িয়েছে। রেলের সম্পদ ধ্বংস করেছে। রেলের সম্পদ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
মন্ত্রী সুজন বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কোন গরিব থাকবে না। তিনি অসহায় গৃহহীনদের জন্য ঘর করে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। তাই উন্নয়নের এ সরকারের সাথে থাকার জন্য অনুরোধ জানান।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহণ কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত জানান , প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে ভোর সাড়ে ৫টায় পটিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পৌঁছাবে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় পটিয়া ছেড়ে সকাল ৯টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে।
দ্বিতীয় ট্রিপে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে ট্রেনটি। দোহাজারী পৌঁছাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং দোহাজারী থেকে ছেড়ে আসবে ৭টা ৪০ মিনিটে। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।